জেরুজালেমে ইসরায়েলি সরকারবিরোধী বিক্ষোভ-সমাবেশ হয়েছে। সোমবার (১৭ জুন) জেরুজালেমের রাস্তায় নেমে দেশটিতে একটি নতুন নির্বাচনের আহ্বান জানিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। এসময় প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বাড়ির কাছে পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়। ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই খবর জানিয়েছে।
দুই মধ্যপন্থি সাবেক জেনারেল বেনি গ্যান্টজ ও গাদি আইজেনকোট পদত্যাগ করার পর গত সপ্তাহে নেতানিয়াহুর যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা ভেঙে যায়। তিনি এখন অতি কট্টরপন্থি ও অতি ডান অংশীদারদের ওপর নির্ভরশীল, যাদের কট্টরপন্থি অ্যাজেন্ডা ৭ অক্টোবরের হামলার পর গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে থেকেই ইসরায়েলি সমাজে একটি বড় ফাটল সৃষ্টি করেছে।
প্রায় প্রতি সপ্তাহেই হওয়া এসব বিক্ষোভ দেশটিতে এখনও বড় ধরনের কোনও রাজনৈতিক পরিবর্তন আনতে পারেনি। পার্লামেন্টে এখনও নেতানিয়াহুর একটি স্থিতিশীল সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে।
গ্যান্টজ ও আইজেনকোটের পদত্যাগের পর বিরোধী দলগুলো জেরুজালেমের রাস্তায় এক সপ্তাহব্যাপী প্রতিবাদের ঘোষণা দিয়েছিল। এসময় মহাসড়ক অবরোধ করা এবং গণবিক্ষোভের কথা জানিয়েছিল তারা।
সূর্যাস্তের সময় নেতানিয়াহুর ব্যক্তিগত বাড়ির সামনে মিছিল করার আগে ইসরায়েলের সংসদ নেসেটের বাইরে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী জড়ো হয়েছিলেন।
ক্রমেই বিক্ষোভ উত্তাল হয়ে ওঠে। নেতানিয়াহুর বাড়ির সামনে পৌঁছানোর পরপরই কিছু বিক্ষোভকারী ছত্রভঙ্গ হয়ে পুলিশের দেওয়া ব্যারিকেড ভেঙে ফেলার চেষ্টা করে। এসময় পুলিশ তাদের বাধা দেয় এবং টেনে নিয়ে যায়। সংঘর্ষের একপর্যায়ে রাস্তায় আগুন জ্বালায় বিক্ষোভকারীরা। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান ব্যবহার করে পুলিশ।
পুলিশের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পুলিশ কর্মকর্তাদের ওপর হামলার অভিযোগে নয় জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বিক্ষোভের সময় অনেকে ইসরায়েলি পতাকা ওড়ান। অন্যরা দেশের গুরুত্পূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে নেতানিয়াহুর সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেন। এর মধ্যে দেশটিতে একটি বিভাজনমূলক সামরিক খসড়া বিল রয়েছে, যেটি অতি কট্টরপন্থি ইহুদিদের বাধ্যতামূলক পরিষেবা থেকে অব্যাহতি নেওয়ার সুযোগ দেয়। একইসঙ্গে গাজায় হামাসের সঙ্গে তার যুদ্ধ পরিচালনা এবং লেবাননের হিজবুল্লাহর সঙ্গে লড়াইয়ের মতো বিষয়ও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।