পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সৈকতের জিরোপয়েন্ট থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার পশ্চিমে লেম্বুর বনাঞ্চলের ঝাউ বাগান থেকে এক পর্যটকের অর্ধগলিত গলায় ফাঁস দেয়া ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার রাত নয়টার দিকে পুলিশ মরদেহটি গাছ থেকে উদ্ধার করে।
নাইলনের রশি দিয়ে তার গলায় ফাঁস দেয়া ছিলো বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নিহতের নাম বেল্লাল ফেরাজী(১৯)। সে মানিকগঞ্জ সদরের উত্তর বিলডাইলী গ্রামের পান্নু ফেরাজীর ছেলে।
মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবুল খায়ের দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, ধারণা করা হচ্ছে ৬ থেকে ৭ দিন আগে তার মৃত্যু হয়েছে। এ কারণে শরীরে পচন ধরেছে। গহীন বনাঞ্চল হওয়ায় এতোদিন মৃতদেহটি কারো নজরে আসেনি।
পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান, মৃত বেল্লাল গ্লোরা মানিকগঞ্জ নামে একটি মিষ্টির দোকানে কাজ করতেন। কিন্তু দুই মাস আগে সে কাজ ছেড়ে দেয়। এরপর পরিবারে ফিরে না গিয়ে সে কাউকে কিছু না বলে চলে আসে। এরপর পরিবারের কারো সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিলো না। এমনকি তার ব্যবহৃত মুঠোফোনটিও বন্ধ ছিলো। সর্বশেষ গত ৫ ফেব্রুয়ারি বেল্লাল তার বড় ভাই রাহিত ফেরাজীকে টেলিফোন করে সে ভালো
আছে জানালেও কোথায় আছে তা জানায়নি।
ওসি আরও জানান, কুয়াকাটার মূল সৈকত থেকে এ বনাঞ্চলের দুরত্ব প্রায় ১০ কিলোমিটার। ঘন বনাঞ্চল হওয়ায় এখানে এলাকাবাসী ও পর্যটকের চলাচলও কম। তাই মৃতদেহটি গাছে ঝুললেও কারো চোখে পড়েনি। রোববার বিকালে স্থানীয় এক লোক প্রথমে গাছে ঝুলন্ত মরদেহটি দেখতে পায়।
পরে লোকমুখে পুলিশ বিষয়টি জেনে রাতে ওই বনাঞ্চলে প্রবেশ করে মৃতদেহটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। নিহতের মরদেহ সোমবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মর্গে পাঠানো হয়। কেনো কী কারণে তার মৃত্যু হয়েছে তা ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পরইজানা যাবে। প্রাথমিক তদন্ত শুরু হয়েছে।