ঝালকাঠির খাদ্যগুদামে বোরো প্রকল্পর চালের বস্তায় মিলের সিল মারার সময় এক শ্রমিক হাতেনাথে ধরা পড়েছেন। মিল মালিকদের লাইসেন্সের নামে বাহির থেকে কম দামে কেনা নিম্মমানের চাল গুদামজাত করার অভিযোগ উঠার পর নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের অভিযানে ধরা পড়লেন ওই শ্রমিক।
সোমবার (১৫ জুলাই) সকালে ঝালকাঠি খাদ্যগুদামে এ ঘটনা ঘটেছে।
ঝালকাঠি সদর উপেজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইফুল ইসলামের অভিযানে ধরাপড়া গুদাম শ্রমিক নুরু মাঝি বলেন, সাবেক নিরাপত্তা প্রহরী মানিকের নির্দেশে এ কাজ করছিলেন তিনি। এ সময় দেখা যায় অপর পাশে কিছু শ্রমিক সিল দেয়া ও বস্তায় চাল ভরে মেশিনে সেলাই কাজে ব্যস্ত। ম্যাজিস্ট্রেট আসার সংবাদ শুনে ঘটনাস্থল থেকে সটকে পরে আনান্য শ্রমিকরা। একই সময় পালিয়ে যায় নিরাপত্ত্বা প্রহরী মানিক সিকদারও। আর এসময় আমিন ও সাব্বির রাইস মিলের নামে কাটানো দুটি সিল উদ্ধার করা হয়।
খাদ্যবিভাগ সূত্রে জানাগেছে, চলতি বোরো মৌসুমে সরকার ঝালকাঠি সদর উপজেলায় ৫৫ টন চাল ক্রয়ের জন্য ২৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়। চুক্তিবদ্ধ ২ মিলের কাছ থেকে সরকারি নির্দেশনুযায়ী ২৭৫০০ টন করে চাল ক্রয়ের জন্য খাদ্য বিভাগকে নির্দেশনা দেয়া হয়। শর্তানুযায়ী মিল মালিকদে নিজস্ব চালু মিল ও প্রক্রিয়াজাত করণসহ ক্রয়কৃত ধান তাদের মিলে ভাঙ্গিয়ে বস্তায় ভরে মিলের সিল দিয়ে গুদামে সরকারি খাদ্যগুদামে সরবরাহ করার বিধান রয়েছে। তবে অভিযোগ রয়েছে, কয়েকজন অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সহায়তায় একটি দালাল চক্র কাগজে কলমে দুটি মিলের নাম দেখিয়ে নিম্নমানের চাল ক্রয় করে তা খাদ্যগুদামে রেখেই ভুয়া সিল মেরে রাখছে।
তবে নিম্মমানের চাল দালালদের মাধ্যমে কেনার বিষয়টি অস্বীকার করে ঝালকাঠি খাদ্যগুদামের দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান বলেন, চাল সরবরাহের ডিলার বা মিল মালিক ঠিকই আছে। তবে তারা তারাহুড়ো করে সব বস্তায় সিল মারতে পারেন নি। তাই অল্পকিছু পরিমান আমার এখানে রেখে সিলমারা হচ্ছিলো।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুজা মন্ডল বলেন, বিষয়টি তদন্তানাধীন রাখা হয়েছে। এখন পর্যন্ত যা ধরা পড়েছে তা নি:ন্দেহে অনিয়ম। তবে এ চালের সরবরাহ প্রতিষ্ঠান ঠিক আছে কীনা তা তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুজা মন্ডল।