ঝালকাঠিতে রূপসী বাংলার কবি জীবনানন্দ দাশের ৭০তম প্রয়াণ দিবসে সভা ও আবৃত্তি অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঝালকাঠি কবিতাচক্র আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক আশরাফুর রহমান।
বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার উজ্জ্বল কুমার রায়। ঝালকাঠি কবিতাচক্রের সাধারণ সম্পাদক আল আমিন বাকলাইয়ে সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন মনোয়ার হোসেন খান, অ্যাড. আনোয়ার হোসেন আনু, আনিসুর রহমান পলাশ, অ্যাড. অসম মাহমুদুর রহমান পারভেজ, অ্যাড. সাকিনা আলম লিজা, কবি মাসুদ মাসুদ আহমেদ রানা প্রমুখ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কবি শিমুল সুলতানা হ্যাপি। কবিতা আবৃত্তি করেন গবেষক ড. কামরুন্নেছা আজাদ, কবি আবু সাইদ খান, কবিতা চক্রের সহসভাপতি কবি মাহমুদা খানম, কবি শাহানা আক্তার মিলা, আব্দুল গফ্ফার খান, ডা. সঞ্জয় বড়াল, চাঁদনি আক্তার, সরোয়ার হোসেন কাওসার, মাইশা আক্তার প্রমুখ।
রূপসী বাংলার কবি জীবনানন্দ দাশ ১৮৯৯ খ্রিষ্টাব্দের ১৭ ফেব্রুয়ারি বরিশালে জন্মগ্রহণ করেন। তার পূর্বপুরুষ বিক্রমপুরে বসবাস করতেন। মা কবি কুসুম কুমারী দাশ ও বাবা সত্যনানন্দ দাশ। ব্রজমোহন স্কুল থেকে এসএসসি, ব্রজমোহন কলেজ থেকে এইচএসসি সম্পন্ন করেন।
পরে প্রেসিডেন্সি কলেজ ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ ও ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন জীবনানন্দ দাশ। পেশাগত জীবনে ১৯২২ খ্রিষ্টাব্দে অধ্যাপনা শুরু করেন কলকাতা সিটি কলেজে।
এরপর পর্যায়ক্রমে দিল্লির রামযশ কলেজ, ব্রজমোহন কলেজ, বাগেরহাট কলেজ, হাওড়া গার্লস কলেজ, খড়গপুর কলেজে অধ্যাপনা করেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত কবি কলকাতার হাওড়া কলেজে অধ্যাপনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
জীবনানন্দ দাশের প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে ধূসর পাণ্ডুলিপি, বনলতা সেন, মহাপৃথিবী, সাতটি তারার তিমির, জীবনানন্দ দাশের শ্রেষ্ঠ কবিতা, রূপসী বাংলা, বেলা অবেলা কালবেলার কবিতা প্রভৃতি।
গল্পগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে ‘জীবনানন্দ দাশের গল্প, চারজন, শ্রেষ্ঠ গল্প। সাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য রবীন্দ্র স্মৃতি পুরস্কার, সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কারসহ বেশ কিছু পুরস্কার ও সম্মাননা লাভ করেন তিনি। ১৯৫৪ খ্রিষ্টাব্দের ২২ অক্টোবর কলকাতায় ট্রাম দুর্ঘটনায় মারা যান তিনি।