যশোরের হিজলডাঙ্গা শহীদ ফ্লাইট লে. মাসুদ মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজের দুই প্রভাষকসহ তিনজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তারা হলেন- প্রভাষক (ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ) ওবায়দুর রহমান, কৃষি ডিপ্লোমা শাখার ইনচার্জ প্রভাষক স ম কামরুজ্জামান ও করণিক হায়দার আলী।
জালজালিয়াতি করে নিয়োগে সহযোগিতাসহ প্রায় ৮০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গত বুধবার তাদের বরখাস্ত করা হয়। প্রভাষক ওবায়দুর রহমান ও স ম কামরুজ্জামান ২০১৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২০ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও কৃষি ডিপ্লোমা শাখার ইনচার্জের দায়িত্ব পালন করেন। এই সময়ে করণিক হায়দার আলীর যোগসাজশে বিভিন্ন খাতের ১৮ লাখ ও কৃষি ডিপ্লোমা শাখার ৫৯ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন। এ ছাড়া বাংলা বিভাগের প্রভাষক মো. আসাদুল্লাহকে কৃষি ডিপ্লোমা শাখায় এমপিও করে দেওয়ার জন্য এক লাখ ৫০ হাজার টাকা নিয়ে আত্মসাৎ করেন। অনুমোদন ছাড়াই ৩০টি বড় গাছ বিক্রি করে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। এ ছাড়া রেজুলেশন খাতা কাটাছেঁড়াসহ সংযোজন করে প্রভাষক মারজিয়া সুলতানাকে চাকরি থেকে সরিয়ে দেওয়ার মতো অপরাধে যুক্ত ছিলেন। ২০২০ সালের মার্চ মাসে করোনা মহামারির শুরু থেকে দু'জন প্রভাষক কলেজে আসেন না।
অধ্যক্ষ মশিয়ুর রহমান বলেন, সাতজন সহকারী অধ্যাপকসহ ১২ জন সিনিয়রকে টপকে প্রভাষক ওবায়দুর রহমানকে ভারপ্রাপ্ত অধক্ষের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এ ছাড়া ২০১৪ সালের ১৮ জুন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তিন সদস্যের নিরীক্ষা টিমের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা প্রতিবেদনে ব্যবস্থাপনা বিষয়ে প্রভাষক স ম কামরুজ্জামান নিয়োগ পরীক্ষায় অনুপস্থিত থাকলেও তাকে জালিয়াতির মাধ্যমে নিয়োগ প্রদান করা হয়। তার নিয়োগ বিধিসম্মত নয় বলে তিনি ২০০৪ সালের ১ মে থেকে ২০১৪ সালের ৩০ মে পর্যন্ত গৃহীত বেতন-ভাতা ১১ লাখ ১ হাজার ৪৬১ টাকা সরকারি খাতে ফেরতযোগ্য বলে উল্লেখ করেন।
অথচ ভারপ্রাপ্ত অধক্ষের ঘনিষ্ঠ হওয়ায় দায়িত্ব পেয়েই তিনি তাকে শাস্তির পরিবর্তে কৃষি ডিপ্লোমা শাখার ইনচার্জের দায়িত্ব দেন। ওই সময় ৬ বছর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের বাবা কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি ছিলেন।