শিক্ষাবিদ ও গবেষক অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস বলেছেন, মালিক ও ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যদের জন্য টাকা বানানো ও পাচারের জায়গা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়। শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে ইকোনোমিক রিপোর্টার্স ফোরাম মিলনায়তনে মুভমেন্ট ফর ওয়ার্ল্ড এডুকেশন রাইটস আয়োজিত ‘শিক্ষাব্যবস্থা ও রাষ্ট্র সংস্কারে করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।
প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে শুধু ধনীরা পড়াশোনা করে না উল্লেখ্য করে অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস বলেন, এখানে অনেক ভাল ছেলে-মেয়ে আসে, অনেক স্বপ্ন নিয়ে আসে। আমাদের ভাবনা কোটিপতির সন্তানরা আসে, তা না। এখানে অনেক মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্তদের সন্তানরা আসে।
সরকারের উদ্দেশ্যে এই শিক্ষাবিদ বলেন, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে শক্ত করে ধরেন। ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যরা কোটি কোটি টাকা নেয়, আবার সরকারকে বলে, আমরা যে নতুন জায়গায় যাবো, আমাদের টাকা নাই, জমি কিনে দেন। যদি টাকা উদ্বৃত্ত থাকে তাহলে জমি কিনেন, ভবন করেন, শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেন। কোন অবস্থাতেই এখান থেকে কোন টাকা মালিকরা, ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যরা নিতে পারে না।
শেখ হাসিনা সরকারের সমালোচনা করে অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস বলেন, ৬৯ গণঅভ্যুত্থানে ৬১ জন মানুষ মারা গেছে মাত্র। সেখানে আইয়ুব খানের ১০ বছরের রাজত্ব শেষ হয়ে গেছে। এরশাদের স্বৈরশাসনের সময় ৯ বছরে মাত্র ৩৭০ জন মারা গেছে আর এই শেখ হাসিনার সময়ে মাত্র দুই মাসে এক হাজার জন মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। ইউনিসেফ বলছে ৬৪ জন শিশু মারা গেছে অথচ আইয়ুব খানের সময় কোন শিশু মারা গেছে কি না আমার জানা নেই।
ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি বন্ধের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা একটা কথা ভুল বলি, এখন সবাই চাচ্ছে ক্যাম্পাসে রাজনীতি বন্ধ করার কথা। কিন্তু তা না কিন্তু। শিক্ষার্থীরা বলছে দলদাস ভিত্তিক রাজনীতি বন্ধ হতে হবে। সাম্প্রদায়িক রাজনীতিও বন্ধ হবে না, হলে বাংলাদেশ বেশিদূর এগুতে পারবে না।