টাঙ্গাইলে যাত্রা শুরু করেছে স্টেশন অণু-পাঠাগার। বাতিঘর আদর্শ পাঠাগারের উদ্যোগে টাঙ্গাইল রেলস্টেশনে অণু-পাঠাগারের উদ্বোধনের মধ্যে দিয়ে এর যাত্রা শুরু হলো। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে টাঙ্গাইল রেলস্টেশন অণু-পাঠাগারের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। স্টেশনে অপেক্ষমাণ যাত্রীদের বই পড়ার সুযোগ করে দিতে অর্ধ-শতাধিক বিভিন্ন ধরনের বই নিয়ে এ অণু-পাঠাগারের কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
অণু-পাঠাগার উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট কবি টাঙ্গাইল সাধারণ গ্রন্থাগারের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ কামাল। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কুমুদিনী সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর আব্দুর রাজ্জাক, সম্মিলিত পাঠাগার আন্দোলনের সভাপতি আব্দুস ছাত্তার খান, সহ-সভাপতি ডা. রাজেন্দ্র দেবনাথ, কর পরিদর্শক খন্দকার মিজানুর রহমান, টাঙ্গাইল রেলস্টেশনের স্টেশন মাস্টার রকিবুল হাসান, বাতিঘর আদর্শ পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা কামরুজ্জামানসহ অনেকে।
টাঙ্গাইল থেকে ঢাকাগামী সিল্কসিটি ট্রেনের অপেক্ষমাণ যাত্রী আলতাফ হোসেন বলেন, এটি খুবই প্রশংসনীয় উদ্যোগ। ট্রেনের জন্য বিভিন্ন সময় স্টেশনে অপেক্ষা করতে হয়। তখন মোবাইলে সময় অপচয় করি। অপেক্ষার এ সময়টুকু এখন আমরা বই পড়ে কাটাতে পারবো, খুবই ভালো লাগছে।
বাতিঘর আদর্শ পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা কামরুজ্জামান বলেন, যাতায়াতের পথে ট্রেনের জন্য স্টেশনে অনেক সময় অপেক্ষা করতে হয়। এ সময় যাত্রীরা গল্পগুজব করে অলস সময় পার করে দেন। স্টেশনে বই পড়ার সুযোগ থাকলে যাত্রীরা বই পড়ে সময় কাটানোর মধ্যদিয়ে মনোজগতকে পরিশুদ্ধ করতে পারবেন। বই পড়ার এ কার্যক্রম আরো সম্প্রসারিত করার পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের। ইতোমধ্যে জেলার বেশ কয়েকটি বাজারে সেলুন অণু-পাঠাগার ও বাসস্ট্যান্ড অণু-পাঠাগার চালু করেছেন বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, ‘এসো বই পড়ি, নিজেকে আলোকিত করি’ স্লোগানকে সামনে রেখে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার চৌরাকররা গ্রামে ২০১০ সালে গড়ে ওঠে বাতিঘর আদর্শ পাঠাগার। প্রতিষ্ঠার পর থেকে পাঠাগারটি মানুষের মধ্যে পাঠাভ্যাস তৈরি ও জ্ঞানভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে সেলুন, বাসস্ট্যান্ড ও স্টেশন অণু-পাঠাগার স্থাপনসহ শিক্ষামূলক কর্মকা