গাইবান্ধার একটি কলেজ থেকে টানা দুই বছর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেনি কোন শিক্ষার্থী।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) রাত ১১টার দিকে ওই কলেজ সূত্রে এই ফলাফলের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। একজনও পাস না করা ওই প্রতিষ্ঠানের নাম 'ফকিরহাট মহিলা কলেজ'।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখা নিয়ে ২০০০ খ্রিষ্টাব্দে যাত্রা শুরু করে ফকিরহাট মহিলা কলেজ। মাঝে কিছুদিন বন্ধ থেকে ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দে পুনরায় চালু করা হয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি।
২০২৪ খ্রিষ্টাব্দের এইচএসসি পরীক্ষায় কলেজটি থেকে মানবিক বিভাগের দুইজন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। তাদের মধ্যে একজন নিয়মিত ও একজন অনিয়মিত শিক্ষার্থী ছিলেন। কিন্তু পরীক্ষার ফলাফলে দেখা যায় তাদের কেউই পাস করেনি।
এর আগে ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দে কলেজটি থেকে মাত্র একজন পরীক্ষার্থী মানবিক বিভাগ থেকে পরীক্ষায় অংশ নেয়। সেবারও তিনি ফেল করেন।
এ ব্যাপারে ফকিরহাট মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মাহবুবার রশিদ জানান, ২০০০ খ্রিষ্টাব্দে কলেজটি প্রতিষ্ঠার পর বিভিন্ন সমস্যার কারণে বন্ধ হয়ে যায়। এরপর সমস্যা কাটিয়ে ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দে পুনরায় চালু করা হয়। এরপর ফলাফল ভালোই ছিল। শতভাগই পাশ করতো। বর্তমানে টানা ফলাফল বিপর্যয়ের মূল কারণ দুর্নীতি। প্রতিষ্ঠাতার দুর্নীতির কারণে কলেজটি বন্ধ থাকে। আগে ১০ থেকে ১৫ জন শিক্ষক ছিলেন, এখন অনেকেই আসেন না। এতে শিক্ষার্থী ভর্তিসহ সার্বিক কর্মকাণ্ডে ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়। ফলে আজকের এই ফল বিপর্যয়। নানা দুর্নীতির বিষয়ে কয়েক দফায় শিক্ষা সংশ্লিষ্ট দফতরে অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার মেলেনি। এভাবে চলতে থাকলে একসময় প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হয়ে যাবে।
২০২৫ খ্রিষ্টাব্দের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় কলেজটি থেকে একজন পরীক্ষার্থীর অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে বলেও জানান তিনি।