গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) এক ছাত্রীকে টিউশন দেয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল শুক্রবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত ওই ব্যক্তির নাম আলমগীর হোসেন। তার ভিজিটিং কার্ডে পরিচয় হিসেবে গোপালগঞ্জ জেলা জজ কোর্টের আইনজীবী উল্লেখ রয়েছে। এ ছাড়া ভিজিটিং কার্ড সূত্রে জানা গেছে, তিনি গোপালগঞ্জের ঘোনাপাড়ার একটি রেস্টুরেন্ট অ্যান্ড পার্টি সেন্টারের পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।
এ ঘটনায় বশেমুরবিপ্রবির উপরেজিস্ট্রার মো. মোরাদ হোসেন বাদী হয়ে গোপালগঞ্জ সদর থানায় ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে একটি এজহার দায়ের করেছেন।
এজহার সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত আলমগীর হোসেন বাচ্চাদের পড়ানোর জন্য ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে তার বাসায় যেতে বলেন। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী পড়ানোর উদ্দেশ্যে বাসায় যাওয়ার পর আলমগীর হোসেন বিভিন্ন ধরনের কথা বলার একপর্যায়ে ওই ছাত্রীর শ্লীলতাহানি করেন। তার কাপড় ছিঁড়ে ফেলেন। তার চিৎকারে পাশের বাসার এক নারী এবং আশপাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করেন।
এদিকে ভুক্তভোগীর সহপাঠীদের অভিযোগ, তারা ঘটনাটি বিকেলে প্রক্টরকে অবহিত করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণে সহযোগিতা চান। কিন্তু প্রক্টরিয়াল টিমের কাছ থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত তারা কোনো সহযোগিতা পাননি।
ক্ষোভ প্রকাশ করে ভুক্তভোগীর এক সহপাঠী বলেন, ‘আমরা বিকেলেই ঘটনাটি প্রক্টরকে জানিয়েছি। কিন্তু চার-পাঁচ ঘণ্টা অপেক্ষা করেও তাদের কাছ থেকে কোনো ধরনের সহযোগিতা পাইনি। পরবর্তী সময়ে রাত ৮টার দিকে একজন সহকারী প্রক্টর এসেছেন।’
অভিযোগ অস্বীকার করে প্রক্টর ড. কামরুজ্জামান বলেন, ‘আমাকে তারা ৫টার দিকে বিষয়টি জানিয়েছে। বিষয়টি জানা মাত্রই আমাদের প্রক্টরিয়াল টিমের এক শিক্ষককে এবং ভুক্তভোগীর বিভাগের চেয়ারম্যানকে জানিয়েছি।’