দৈনিক শিক্ষাডটকম, ঢাবি: শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, টিচিং-লার্নিংয়ের ক্ষেত্রে বেসরকারিভাবে যারা কাজ করছেন এবং সরকারের পক্ষ থেকে যারা নীতিনির্ধারক পর্যায়ে কাজ করছেন তাদের মধ্যে যেনো নীতির আদান প্রদান হয়। এর ফলে উচ্চশিক্ষা এবং প্রাথমিক শিক্ষায় যে পরিবর্তন হবে তাতে সবারই উপকার হবে।
সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে আয়োজিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘নলেজ অ্যান্ড ইনোভেশন এক্সচেঞ্জ (কিক্স)’ এর যৌথ উদ্যোগে দুই দিনব্যাপী ‘কিক্স বাংলাদেশ ন্যাশনাল আপটেক ফোরাম-২০২৪’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলন প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশসহ বিশ্বের ১০ দেশের শিক্ষক, গবেষক, বিশেষজ্ঞ ও শিক্ষার্থীরা এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নীতি নির্ধারকরা যদি একটি দেশের সাংস্কৃতিক এবং সামাজিক বিষয়গুলো এবং এর চাহিদা বোঝতে না পারেন তাহলে যেকোনো পলিসিই ব্যর্থ হবে। এজন্য আমাদের শুধু তথ্য উপাত্তভিত্তিক গবেষণার ওপর ভিত্তি করে কোনো সিদ্ধান্তে আসা ঠিক হবে না।
একটি দেশে কোনো পলিসি সাসটেইনেবল হলেও অন্য দেশের ক্ষেত্রে তা প্রযোজ্য নাও হতে পারে। তাই আমাদের উচিত সাংস্কৃতিক এবং সামাজিক ইস্যুগুলোর ওপর গুরুত্ব দেয়া। এর ফলে বেসরকারিভাবে যারা যারা গবেষণা করছেন, যারা সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে কাজ করছেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের যারা রয়েছেন তাদের সবার উপকার হবে। একইসঙ্গে দেশও উপকৃত হবে, যোগ করেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, আমরা যদি শুধুমাত্র তথ্য উপাত্তভিত্তিক কোনো গবেষণার ওপর ভিত্তি করে শুধু পলিসি পর্যায়ে চলে যাই। কিন্তু সমাজ তার জন্য প্রস্তুত নয়। এই বিষয়টাকে কীভাবে সমাধান করা যায় সেজন্য একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
শিক্ষামন্ত্রী আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা শিক্ষার্থীদের আনন্দের সঙ্গে শিক্ষা দিতে চাই। আমাদের অ্যাকটিভিটি-বেসড এবং এক্সফেরিয়েন্স-বেসড লার্নিংয়ের দিকে যেতে হবে।
তিনি আরো বলেন, শহরের শিক্ষার্থীরা কী ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছেন, গ্রামের শিক্ষার্থীরা কী ধরনের সমস্যা মোকাবিলা করছেন সেগুলো বের করে গবেষণালব্ধ তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে।