পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার তুলাতলা গ্রামের ৮২ নম্বর দক্ষিণ ভয়াং তুলাতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনটি একবছর আগে ব্যবহারের অযোগ্য ঘোষণা করা হয়। পরে ছোট্ট একটি টিনশেড ঘরে চলছে পাঠদান। কক্ষ সংকট ও দুর্ঘটনার শঙ্কা থাকলেও শিক্ষকরা ভবনের একটি কক্ষ লাইব্রেরি হিসেবে ব্যবহার করছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ভবনের ছাদের ও ভবনের পলেস্তারা খসে পড়ে লোহার রড বেরিয়ে পড়েছে। ভবনের একটি কক্ষে শিক্ষকরা লাইব্রেরি হিসেবে ব্যবহার করছেন। ফাটল ধরেছে ভবনের বিভিন্ন দেয়ালে ও পিলারে। প্রায় সময় পলেস্তারার টুকরো খসে পড়ছে। ছোটখাটো দুর্ঘটনার শিকার হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। এ অবস্থায় পুরো ছাদ কিংবা ভবন ধসে পড়ার আশঙ্কা করছেন শিক্ষকরা।
শিক্ষকরা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, টিনশেড ঘরে শিক্ষার্থীরা ঠিকভাবে ক্লাস করতে পারছেন না। করোনাকালীন বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় বিদ্যালয়ের সীমানা সংলগ্ন একটি নূরানী মাদরাসা গড়ে উঠেছে। এতে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যাও কমে যাচ্ছে।
শিক্ষার্থীরা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, আমরা ঠিকভাবে ক্লাস করতে পারি না। খেলার মাঠও নেই। নতুন ভবন নির্মাণ হলে আমাদের পড়ালেখার উন্নতি হবে।
প্রধান শিক্ষক মো. মোশারফ হোসেন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, বর্তমানে জরাজীর্ণ ভবনের সঙ্গেই টিনের দোচালা ঘরের মধ্যে ক্লাস চলছে। ভবন নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার জানানো হয়েছে। দীর্ঘদিন পরেও নতুন ভবন নির্মিত না হওয়ায় ছাত্রছাত্রীদের লেখাপড়ায় সমস্যা হচ্ছে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. রিয়াজুল হক দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, বিদ্যালয় ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ এবং ব্যবহারের অনুপযোগী হওয়ায় পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ এসব বিদ্যালয়ের নামের তালিকা করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। নতুন ভবন বরাদ্দ পাওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।