শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধে স্কুল ফিডিংয়ের আওতায় আনা হলেও এক সপ্তাহ ধরে দুধ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে রংপুর বিভাগের ৫৬টি বিদ্যালয়ে দুধ সরবরাহ। ফলে টিফিনে অনেক শিক্ষার্থীকে খালি পেটে ক্লাস করতে হচ্ছে। সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের দাবি, তাঁরা চার মাস থেকে বিল পাচ্ছেন না। ফলে আর্থিক সংকটের কারণে দুধ সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছেন।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, টেন্ডারের মাধ্যমে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছে দুধ সরবরাহ আহ্বান করা হলে রংপুর বিভাগের ৫৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুধ সরবরাহের কাজ পান রংপুর ডেইরি অ্যান্ড ফুড প্রোডাক্টস লিমিডেট নামের একটি প্রতিষ্ঠান।
রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার কাশিয়াবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সঞ্জয় কুমার রায় বলেন, ‘নিভৃত পল্লিতে স্কুল। এখানে ৯০ ভাগ দিনমজুর পরিবার। স্কুল মিল্ক ফিডিং চালুর পর আগের থেকে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি বেড়েছিল। কিন্তু এক সপ্তাহ ধরে তা বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা টিফিনে বাড়ি গিয়ে আর ফিরছে না।’
রংপুর ডেইরি অ্যান্ড ফুড প্রোডাক্টস লিমিডেটের প্রজেক্ট সুপারভাইজার আতিকুর রহমান বলেন, ‘অর্থের সংকটের কারণে এক সপ্তাহ ধরে দুধ সরবরাহ বন্ধ আছে। কারণ, আমরা তিন-চার মাস থেকে কোনো বিল পাইনি। প্রায় তিন কোটি টাকা বকেয়া থাকায় দুধ সরবরাহ করতে পারছি না।’
জানতে চাইলে প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের (এলডিডিপি) উপপ্রকল্প পরিচালক (ডিপিডি) ডা. হিরন্ময় বিশ্বাস বলেন, ‘দুধ সরবরাহ বন্ধ রাখার বিষয়টি আমার জানা নেই। কালকে একজন বলছে। টেকনিক্যাল কারণে দুধ বোধ হয় শট পড়ছে।’
বিল বকেয়ার প্রশ্নে হিরন্ময় বিশ্বাস বলেন, ‘অফিশিয়াল জটিলতার কারণে ফান্ড পেতে দেরি হচ্ছে। নতুন অর্থবছরের তিন মাসের বিল পাওনা রয়েছে, আমরা চেষ্টা করছি। ফান্ড অথরাইজড পাইনি, পেলেই তারা বিল পেয়ে যাবে। তাদের দুধ সরবরাহ চালু রাখতে বলেছি।’