ট্রাম্পের নির্বাচনী ব্যয় সংগ্রহের অভিনব পদ্ধতি

নিরঞ্জন রায় |

প্রায় দুই দশক আগে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় বর্তমান রাজপথের বৃহত্তম বিরোধী দলের এক নেতা তার নিজ নির্বাচনী এলাকা পাবনা জেলার সাথিয়া থেকে সংসদ সদস্য পদে নির্বাচন করার ইচ্ছা পোষণ করলে, সেই দল কোনো এক বিশেষ কারণে তাকে তার নিজের এলাকার পরিবর্তে সিরাজগঞ্জের চৌহালি অঞ্চল থেকে নির্বাচন করার জন্য নমিনেশন দেয়। কিছুটা নিরুপায় হয়ে মেনে নিলেও, সেই নেতা এই সিদ্ধান্তে মোটেই খুশি হতে পারেনি। কারণ, তার বদ্ধমূল ধারণা ছিলো যে এই এলাকার মানুষ তাকে চেনে না। সেখানে সে একেবারেই নতুন। ফলে সে ধরেই নিয়েছিলো যে এই এলাকা থেকে তার জয়লাভের কোনো সম্ভাবনা নেই। এ কারণেই তিনি সেই নির্বাচনে তেমন কোনো অর্থও খরচ করতে চাননি। সৌভাগ্যক্রমে সে সময় সিরাজগঞ্জের চৌহালি অঞ্চলের অধিকাংশ মানুষ, বিশেষকরে ব্যবসায়ী সম্প্রদায় সেই দলের অন্ধ সমর্থক ছিলো। ফলে সেসব সমর্থক তার সঙ্গে দেখা করে তাকে সমর্থন করেন এবং অনেকে নির্বাচনী ব্যয় নির্বাহের দায়িত্বও নেন। প্রথমে সেই সংসদ সদস্যপ্রার্থী বিশ্বাস না করলেও নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভের পর বেশ হতবাক হয়েছিলেন। তিনি এতোটাই আবেগ-আপ্লুত হয়েছিলেন যে নির্বাচন পরবর্তী এক জনসভায় প্রকাশ্যে বলেছিলেন যে তিনি এতো সুন্দর নির্বাচনী এলাকা জীবনে দেখেননি। কেনোনা যেখানকার জনগণ শুধু ভোটই দেন না, সেইসঙ্গে নির্বাচনী খরচও বহন করেন। এখন অবশ্য চৌহালির অবস্থা বদলেছে। এখন সেখানকার এমপি আওয়ামী লীগের এবং সমর্থকরাও আওয়ামী লীগের। অবশ্য ক্ষমতা পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে সেখানকার পরিস্থিতিও বদলাবে কি না সেই শঙ্কা অনেকেরই আছে।     

যাহোক আজ থেকে দু-দশক আগে নিজের দেশের একটি নির্বাচনী এলাকার ঘটনা সুদূর কানাডায় বসে স্মরণ করার কারণ হচ্ছে সেই ঘটনার সঙ্গে আমেরিকার রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডোনান্ড ট্রাম্পের আসন্ন নির্বাচনী ব্যয় নির্বাহের জন্য অর্থ সংগ্রহের কৌশলের যথেষ্ট মিল খুঁজে পাওয়া। ট্রাম্প আমেরিকায় আমাদের দেশের সে সময়ের সিরাজগঞ্জের চৌহালির মতো কোনো নির্বাচনী অঞ্চল সৃষ্টি করতে না পারলেও, এমন এক অন্ধ সমর্থকগোষ্ঠী সৃষ্টি করতে পেরেছেন যারা শুধু তাকে ভোটই দেবেন না, সেই সঙ্গে তার নির্বাচনী ব্যয়ের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থও সংগ্রহ করে দেবেন। শুধু তাই নয়, এ রকম অন্ধ সমর্থকগোষ্ঠীর সমর্থনকে কাজে লাগিয়ে ট্রাম্প শুধু তার বিশাল নির্বাচনী ব্যয় নির্বাহের সুযোগ পাবেন তেমন নয়, সেইসঙ্গে তিনি মাল্টি বিলিয়ন ডলারের মালিকও হয়ে যাবেন। বিষয়টি অনেকের কাছে অবিশ্বাস্য মনে হলেও, এটাই এখন বাস্তবতা এবং এটাই সত্য হতে চলেছে।    

উন্নত দেশে, বিশেষ করে আমেরিকার মতো দেশে বিশাল অঙ্কের নির্বাচনী ব্যয়ের প্রয়োজন হয়। এ কারণেই এসব দেশে নির্বাচনের আগে অর্থ সংগ্রহ বা ফান্ড রাইজিং খুবই জনপ্রিয় এবং গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মসূচি। সাধারণত দলের সমর্থক এবং দলের প্রতি সহানুভূতিশীল ব্যক্তিরাই অনুদান দিয়ে এই নির্বাচনী অর্থ সংগ্রহে ভূমিকা রাখে। এই ফান্ড রাইজিং এর পরিমাণের ওপর ভিত্তি করে নির্বাচনে জয়ের হাওয়াও পরিবর্তন হতে দেখা যায়। এই নির্বাচনী তহবিলে প্রার্থী নিজেও সামর্থ্য অনুযায়ী ভালো অঙ্তের অর্থ দিয়ে থাকেন। যুক্তরাষ্ট্রের ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দের নির্বাচনে ট্রাম্প নিজে ৬৬ মিলিয়ন ডলার জমা দিলেও, ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের নির্বাচনে তিনি ইচ্ছে করেই কোনো অর্থ নিজে থেকে নির্বাচনী তহবিলে জমা দেননি। কারণ, তখন তিনি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে থেকেই নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন এবং এই পদে থেকে বিশাল অঙ্কের অর্থ নিজের নির্বাচনী ফান্ডে জমা দিলে অনেক প্রশ্ন এবং আইনগত জটিলতা দিতে পারে। এ বছর প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ট্রাম্পের আর্থিক অবস্থা মোটেই ভালো না। তার ওপর আছে কোর্টের রায় এবং বিশাল অঙ্কের জরিমানার বোঝা। তার বিরুদ্ধে একটি সিভিল ফ্রড কেসের মামলার রায়ে ৪৫৪ মিলিয়ন ডলারের জরিমানা আদেশ রয়েছে। ট্রাম্প এই জরিমানার অর্থ প্রদানের নিশ্চয়তা দেয়ার উদ্দেশে বন্ড সংগ্রহ নিয়ে সমস্যার মধ্যে আছেন। এহেন পরিস্থিতিতে ট্রাম্প যদি তার নিজের নির্বাচনী তহবিলে নিজ থেকে অর্থ জমা দেন, তাহলে জরিমানা পরিশোধের বিষয়টি আরো জটিল আকার ধারণ করবে। এ কারণেই তিনি এবার নির্বাচনী ব্যয়ের জন্য পুরোটাই তার সমর্থকদের ওপর নির্ভর করেছেন এবং সমর্থকরাও তাকে সেই সুযোগ অবারিত করে দিয়েছে। 

আমেরিকার গতো নির্বাচনে পরাজিত হবার পর ট্রাম্পের ক্ষমতা হস্তান্তর নিয়ে জটিলতা এবং সেইসঙ্গে ক্যাপিটাল হিলে ট্রাম্প সমর্থকদের হামলার পর জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুক এবং টুইটার (বর্তমান এক্স) ট্রাম্পের আইডি বল্ক করে দেয়ে। যদিও পরবর্তীতে তার আইডি ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে। কিন্তু তখন ট্রাম্প ফেসবুক এবং টুইটার ব্যবহার করার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হন। ক্ষোভে এবং অভিমানে ট্রাম্প নিজেই একটি সোশ্যাল মিডিয়া ‘ট্রুথ সোশ্যাল’ প্রতিষ্ঠা করেন। এই ট্রুথ সোশ্যালের মালিকনা হচ্ছে ট্রাম্পের কোম্পানি, মিডিয়া অ্যান্ড টেকনোলজি গ্রুপ এবং ট্রাম্প এই কোম্পানির ৬০ শতাংশ শেয়ারের মালিক। প্রতিষ্ঠার পর থেকে তিন বছর অতিবাহিত হলেও ট্রুথ সোশ্যাল মোটেই জনপ্রিয় হয়নি। শুধুমাত্র ট্রাম্পের কট্টর সমর্থকরাই এই ট্রুথ সোশ্যাল ব্যবহার করে থাকে। ফলে এই প্লাটফর্মের ব্যাবসা, বিশেষ করে অ্যাড বাণিজ্য বা রেভিনিউ সংগ্রহ মোটেই উল্লেখ করার মতো নয়। 

দেশটির পুঁজিবাজারে বিশেষ উদ্দেশে প্রতিষ্ঠিত অধিগ্রহণ কোম্পানি বা স্পেশাল পারপাজ অ্যাকুইজিশন কোম্পানি আইনসিদ্ধ, স্বীকৃত এবং খুবই জনপ্রিয় একটি পদ্ধতি। এই ধরনের কোম্পানিকে শেল কোম্পানি বা ভেহিকেল কোম্পানি বলেও আখ্যায়িত করা হয়ে থাকে। এই কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করা হয় দেশের পুঁজিবাজারে নতুন কোনো কোম্পানিকে নিয়ে এসে স্টক মার্কেটে তালিকাভুক্ত করে সেই কোম্পানির শেয়ার লেনদেনের ব্যাবস্থা নিশ্চিত করার উদ্দেশে। এই ব্যাবস্থা আমেরিকার অ-তালিকাভুক্ত কোম্পানিকে তালিকাভুক্ত বা স্টক মার্কেটে ট্রেডিং কোম্পানিতে পরিণত করার একটি স্বীকৃত মাধ্যম। এই পদ্ধতি ব্যবহার করেই ট্রাম্পের সমর্থকরা বিশাল অঙ্কের অর্থ সংগ্রহের ব্যাবস্থা নিশ্চিত করে ফেলেছেন। 

প্রথমেই ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড অ্যাকুইজিশন নামে এইটি স্পেশাল পারপাজ অ্যাকুইজিশন কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করে স্টক মার্কেটর সঙ্গে তালিকাভুক্ত হয় শুধুমাত্র একটি প্রাইভেট কোম্পানি ক্রয় করে তার সঙ্গে একীভূত বা মার্জ করার মাধ্যমে পাবলিক কোম্পানিতে রূপান্তর করার উদ্দেশে। যক্তরাষ্ট্রের স্টক মার্কেটে এই স্পেশাল পারপাজ অ্যাকুইজিশন কোম্পানি, ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড অ্যাকুইজিশনের শেয়ারের সংক্ষিপ্ত নাম দেয়া হয় ‘ডি-ডাব্লিউ-এ-সি’। এই শেয়ার ক্রয়বিক্রয় শুরু হলে ক্রমাগত মুল্য বৃদ্ধি পেতে থাকে। মূলত ট্রাম্পের কট্টর সমর্থকরাই ষ্টক মার্কেটে এই ‘ডি-ডাব্লিউ-এ-সি’ শেয়ার ক্রয়বিক্রয় করতে শুরু করে। তারা কোম্পানির মৌল বা ফান্ডামেণ্টাল কি আছে এবং এই কোম্পানির ভবিষ্যৎই বা কি-সেসব কিছুই বিবেচনায় না নিয়ে অন্ধের মতো শুধুমাত্র ট্রাম্পের কোম্পানি ভেবেই এই শেয়ার ক্রয়বিক্রয় করে দাম বৃদ্ধি করতে থাকে। 

এদিকে স্পেশাল পারপাজ অ্যাকুইজিশন কোম্পানি, ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড অ্যাকুইজিশন ট্রাম্পের সোশ্যাল মিডিয়া, ট্রুথ সোশ্যালের প্যারেন্ট কোম্পানি, মিডিয়া এন্ড টেকনোলজি গ্রুপের মার্জারের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করে ফেলে এবং এসংক্রান্ত সব ধরনের আইনগত বাধ্যবাধকতাও সম্পন্ন করে। এই সংবাদে ষ্টক মার্কেটে ‘ডি-ডাব্লিউ-এ-সি’ শেয়ার ক্রয়বিক্রয় বেড়ে যায় এবং এর মূল্যও বৃদ্ধি পেতে থাকে। তারা ভালো একটা সময় বেছে নেয় যখন ডোনান্ড ট্রাম্পের আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিশ্চিত হয়ে গেছে। ফলে এই কোম্পানির শেয়ার মুল্য বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় প্রতি শেয়ার ৪০ ডলার। এই বাজার মুল্যে একীভূত হওয়া ট্রাম্পের কোম্পানির মুল্য দাঁড়াবে ৫ বিলিয়ন ডলার। ট্রাম্প যেহেতু সেই কোম্পানি, মিডিয়া অ্যান্ড টেকনোলজি গ্রুপের ৬০ শতাংশের মালিক, তাই ট্রাম্প ৩ বিলিয়ন ডলারের মালিক হয়ে যাবেন। ট্রাম্প এই কোম্পানির ৬০ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করে ৩ বিলিয়ন ডলার ঘরে তুলে নিতে পারবেন, যা তার আর্থিক দুর্দিনে ভালো কাজে আসবে।

এ সংক্রান্ত সব আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদনও পাওয়া গেছে। শেয়ার লেনদেনে বাজার কারসাজিসহ কিছু অভিযোগ উত্থাপিত হলেও, সেগুলো নিয়ন্ত্রক সংস্থা ক্লিয়ার করে দিয়েছে। ফলে স্পেশাল পারপাজ অ্যাকুইজিশন কোম্পানি, ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড অ্যাকুইজিশন শেয়ারের পরিবর্তে মার্জার বা অধিগ্রহণ করা ট্রাম্পের কোম্পানি মিডিয়া অ্যান্ড টেকনোলজি গ্রুপের শেয়ার ক্রয়বিক্রয় হবে। এই শেয়ারের নতুন সংক্ষিপ্ত নাম ডি-জে-টি নির্ধারণ করা হয়েছে যা মূলত ট্রাম্পের পূরা নামের সংক্ষিপ্ত ফর্ম। এখন থেকে আমেরিকার স্টক মার্কেটে ডি-ডাব্লিউ-এ-সির পরিবর্তে ট্রাম্পের কোম্পানি ‘ডি-জে-টি’ ক্রয়বিক্রয় বা ট্রেডিং হতে দেখা যাবে। এ কথা ঠিক যে এই নতুন কোম্পানির শেয়ার ট্রেডিং শুরু হলেও ট্রাম্প তার ৬০ শতাংশ শেয়ার তাৎক্ষণিক বিক্রি করতে পারবেন না। কেনোনা আইনের বাধ্যবাধকতা থাকায় তাকে এই শেয়ার বিক্রির জন্য কমপক্ষে ছয়মাস অপেক্ষা করতে হবে। তবে ছয়মাসের আগে বিক্রি করতে হলে তাকে সেই কোম্পানির শেয়ার মালিকদের অনুমতি নিতে হবে। অবশ্য এই অনুমতি সংগ্রহ করা ট্রাম্পের জন্য মোটেই কোনো সমস্যা নয়। কারণ, সেসব শেয়ারহোল্ডার ট্রাম্পের কট্টর সমর্থক, যারা এই অনুমোদন দেয়ার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছে। 

মোটকথা পুঁজিবাজারের লেনদেনটি এমনভাবে সাজানো হয়েছে তাতে ট্রাম্প চাইলে যেকোনো সময় তার নিজের ৬০ শতাংশ শেয়ার মার্কেটে বিক্রি করে ৩ বিলিয়ন ডলার সংগ্রহ করে ফেলতে পারবেন, যা তার আগামী নির্বাচনী ব্যয় নির্বাহ করা, বিশাল অঙ্কের অর্থদণ্ড পরিশোধ করেও তাকে মাল্টি বিলিয়ন ডলারের মালিক বানিয়ে দেবে। পুঁজিবাজারে এই ধরনের লেনদেন বিশ্বের অন্য কোনো দেশে, বিশেষ করে বাংলাদেশ, ভারতের মতো দেশে হলে সেখানে মারাত্মক বাজার কারসাজির অভিযোগ উঠতো। আমেরিকার পুঁজিবাজারে সেরকম কোনো অভিযোগ এখনো উত্থাপিত হয়নি, বরং অনেকে এই পদ্ধতিকে ট্রাম্পের নির্বাচনী ব্যয় নির্বাহের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ সংগ্রহের অভিনব এক কৌশল হিসেবেই দেখছেন।  

লেখক: সার্টিফাইড অ্যান্টি-মানিলন্ডারিং স্পেশালিস্ট ও ব্যাংকার

 


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
রোববার থেকে সরকারি প্রাথমিকে মর্নিং স্কুল, খোলার প্রজ্ঞাপন জারি - dainik shiksha রোববার থেকে সরকারি প্রাথমিকে মর্নিং স্কুল, খোলার প্রজ্ঞাপন জারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শনিবারের ছুটি বহাল থাকছে - dainik shiksha প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শনিবারের ছুটি বহাল থাকছে ফের আন্দোলনের হুশিয়ারি চুয়েট শিক্ষার্থীদের - dainik shiksha ফের আন্দোলনের হুশিয়ারি চুয়েট শিক্ষার্থীদের গরমে কলেজে কোচিং, দুদিনে অসুস্থ ৮ ছাত্রী - dainik shiksha গরমে কলেজে কোচিং, দুদিনে অসুস্থ ৮ ছাত্রী কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে নিবন্ধিত শিক্ষক নিয়োগে এনটিআরসির নতুন নির্দেশনা - dainik shiksha নিবন্ধিত শিক্ষক নিয়োগে এনটিআরসির নতুন নির্দেশনা দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে জাল সনদে চাকরি করছে কয়েক হাজার হেলথ টেকনোলজিস্ট - dainik shiksha জাল সনদে চাকরি করছে কয়েক হাজার হেলথ টেকনোলজিস্ট ফের আন্দোলনের হুশিয়ারি চুয়েট শিক্ষার্থীদের - dainik shiksha ফের আন্দোলনের হুশিয়ারি চুয়েট শিক্ষার্থীদের আইনি লড়াইয়ে যাচ্ছেন শিক্ষক নেতা কাওছার শেখ - dainik shiksha আইনি লড়াইয়ে যাচ্ছেন শিক্ষক নেতা কাওছার শেখ please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0026588439941406