ড. অনুপম সেনের বই পড়ানো হয় ইউরোপ-আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়ে

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

অধ্যাপক ড. অনুপম সেন জীবনে একটি বই লেখার পর যদি আর কোনো বই নাও লিখতেন, তাহলেও তিনি আন্তর্জাতিকভাবে বিখ্যাত হয়েই থাকতেন। এ কথাটি স্বয়ং ড. অনুপম সেনের কথা। কানাডার ম্যাকমাস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি গবেষণার ওপর ভিত্তি করে তিনি যে বইটি লেখেন, সেই বইটি এখন ইউরোপ-আমেরিকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানো হয়। ১৯৮২ খ্রিষ্টাব্দে এ বইটি প্রকাশ করেছিল ইংল্যান্ডের বিশ্বখ্যাত প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান রাউটলেজ অ্যান্ড কেগানপল। গত ২৫০ বছরের মধ্যে এই প্রতিষ্ঠান বিশ্বের সেরা ৩০টি বই প্রকাশনা করে এবং এর মধ্যে ড. অনুপম সেনের ‘দ্য স্টেট, ইন্ডাস্ট্রিয়ালাইজেশন অ্যান্ড ক্লাস ফরমেশনস ইন ইন্ডিয়া’ নামে বইটি রয়েছে। পরে ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দে বইটির দ্বিতীয় দফায় প্রকাশ করা হয়।

বইটি উত্তর আমেরিকার বহু বিশ্ববিদ্যালয় যেমন কানাডার টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়, আমেরিকার ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয় ও নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়; সুইডেনের টিনবারজেন বিশ্ববিদ্যালয়, ভারতের দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়, জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজবিজ্ঞান, উন্নয়ন অর্থনীতি (ডেভেলপমেন্ট ইকোনমিকস) ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানের পাঠ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। দেশের আর কোনো লেখকের বই আন্তর্জাতিকভাবে এভাবে পাঠ্য তালিকায় যুক্ত হওয়ার নজির নেই উল্লেখ করে ড. অনুপম সেন বলেন, ‘আমার জানামতে দেশের আর কোনো লেখকের বই এতগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্য তালিকায় যুক্ত করার খবর আমার জানা নেই। আর এ যুক্ত করার মাধ্যমে শুধু আমি নিজে সম্মানিত হইনি, আমার দেশ বাংলাদেশও সম্মানিত হয়েছে।’

বইটি কেন এত বিখ্যাত হয়েছিল? বইটি কী নিয়ে লেখা হয়েছিল? এমন প্রশ্নের জবাবে ড. অনুপম সেন বলেন, ‘এটি ছিল আমার পিএইচডি থিসিস। এ বইয়ে ব্রিটিশদের পুঁজিবাদে লুণ্ঠনে কীভাবে পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী দেশ ভারতবর্ষ বা পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ গরিব দেশে পরিণত হলো তা তথ্য ও তত্ত্বের সমাহারে তুলে ধরা হয়েছিল।’

বইটি সম্পর্কে বলতে গিয়ে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ডা. আতিউর রহমান লিখেছিলেন, ‘বইটিতে মার্ক্সীয় দৃষ্টিভঙ্গিতে লেখা হলেও এতে নয়া-মার্ক্সবাদী ভাবনার সংযোজন বেশ স্পষ্ট। তবে বুদ্ধিবৃত্তিক পাটাতনটি তিনি ধ্রুপদি মার্ক্সীয় ভাবনাতেই উপস্থাপন করেছেন। এর ওপর যে কাঠামো গড়েছেন তাতে সমকালীন নয়া-মার্ক্সবাদীদের ভাবনা বেশ মুনশিয়ানার সাথেই তিনি সংযোজন করেছেন।’

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাস উদ্দিন অনুপম সেনের ৮০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলী প্রয়াসের প্রকাশিত বইয়ে লেখেন, ‘অধ্যাপক সেন দুটো জায়গায় অত্যন্ত উজ্জ্বল। শিক্ষাদীক্ষার পরিম-লে তাঁর পরিচিতি বাংলাদেশ ও এশিয়ার গন্ডি পেরিয়ে পাশ্চাত্যের দেশগুলোতেও বিস্তৃত হয়েছে। দ্বিতীয়ত গবেষণা ক্ষেত্রে তাঁর রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ অবদান। তাঁর তত্ত্বাবধানে শিক্ষার্থীরা উচ্চতর গবেষণা করছে, এমফিল ডিগ্রি অর্জন করছে।’

ড. অনুপম সেন চট্টগ্রাম মিউনিসিপ্যাল মডেল স্কুল থেকে এসএসসি, চট্টগ্রাম কলেজ থেকে এইচএসসি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ ডিগ্রি নেওয়ার পর ১৯৬৬ খ্রিষ্টাব্দে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজতত্ত্ব বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। কিন্তু ১৯৬৯ খ্রিষ্টাব্দে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অধ্যাপক আনিসুজ্জামানসহ ১৯ জন শিক্ষক চট্টগ্রামে চলে আসেন। সে সময় ড. অনুপম সেনও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে সমাজবিজ্ঞান বিভাগে প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে সহকারী অধ্যাপক পদে যোগ দেন। সেই থেকে তিনি চট্টগ্রামে রয়ে গেছেন। মাঝে ১৯৭২ থেকে ’৭৯ খ্রিষ্টাব্দে পর্যন্ত পিএইচডি ডিগ্রির জন্য কানাডার ম্যাকমাস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ে ছিলেন। ২০০৬ খ্রিষ্টাব্দের ৩০ সেপ্টেম্বর তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবসর গ্রহণের পর ২০০৬ খ্রিষ্টাব্দের ১ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। নামেই যিনি বিখ্যাত। বিশ্বের যেকোনো দেশে তিনি নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারতেন। এমনকি রাজধানী শহর ঢাকায়ও থাকেননি, সে সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আসা অনেক শিক্ষক পরবর্তী সময়ে আবারও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে গেলেও ড. অনুপম সেন আর যাননি। তিনি চট্টগ্রামে রয়ে গেলেন। এখন যেখানে মানুষ সুযোগ পেলেই দেশের গন্ডি পেরিয়ে উন্নত দেশে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে, সেখানে তিনি কেন গেলেন না? এ প্রশ্নের উত্তর জানতে চাইলে ড. অনুপম সেন বলেন, ‘আমি চট্টগ্রামকে ভালোবাসি। চট্টগ্রামের মায়া আমাকে কোথাও যেতে দেয় না। আর তাই এখানেই আছি ও থাকব।’

কিন্তু তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘আমি যে চট্টগ্রামকে দেখেছি এখন আর সেই চট্টগ্রাম নেই। আমার স্বপ্নের চট্টগ্রাম আজ শ্রীহীন হয়ে পড়েছে। এখানের পাহাড়গুলোকে কেটে ধ্বংস করা হয়েছে। এখানে সবুজকে কেটে বিনাশ করা হয়েছে। পাহাড়, নদী ও সমুদ্রের যে মিশেল চট্টগ্রাম ছিল সেই চট্টগ্রাম আজ বিপন্ন। অপরিকল্পিত নগরায়ণে ক্ষত-বিক্ষত চাটগাঁ।’

৮৩ বছর বয়সেও গত বৃহস্পতিবার প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজ কক্ষে যখন দেশ রূপান্তরের প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা বলছিলেন, দিন, খ্রিষ্টাব্দ অনুযায়ী সব সঠিক করে কথা বলছিলেন। এত বয়সেও পুরনো দিনের কথা কীভাবে মনে রাখেন? আবার নাগরিক আন্দোলনেও সামনের সারিতে থাকেন। আওয়ামী লীগের উপদেষ্টাম-লীরও সদস্য বরেণ্য এ শিক্ষাবিদের পক্ষে কীভাবে সম্ভব? এ প্রশ্নের উত্তর জানতে চাইলে ড. অনুপম সেন বলেন, ‘বিজ্ঞানীদের গবেষণায় আছে যে ব্যক্তি সৃজনশীল কাজের সঙ্গে বই পড়া ও লেখার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকেন, বুদ্ধিবৃত্তীয় কাজ করেন তাদের মস্তিষ্ক উর্বর থাকে। একই সঙ্গে যারা কায়িক পরিশ্রম করেন তাদের মস্তিষ্কও ভালো কাজ করে। আর আমি যেহেতু চিন্তাশক্তির কাজ করি তাই আমার স্মৃতিশক্তি এখনো প্রখর রয়েছে।’

অনুপম সেনের কৈশোর : পটিয়ার ধলঘাটে তার পৈতৃক নিবাস হলেও ড. অনুপম সেন ১৯৪০ খ্রিষ্টাব্দের ৫ আগস্ট জন্মগ্রহণ করেন চট্টগ্রাম মহানগরীর আইস ফ্যাক্টরি রোডে তাদের নিজস্ব বাড়িতে। তখনকার সময়ে ওই এলাকায় তেমন পাকাবাড়ি ছিল না। একমাত্র অনুপম সেনদের বাড়িটি পাকা ছিল। তখন দ্বিতীয় বিশ^যুদ্ধ শুরু হয়ে যাওয়ায় অনুপম সেনদের পরিবার গ্রামের বাড়ি পটিয়ার ধলঘাটে চলে যান। যুদ্ধকালীন সেখানেই অবস্থান করেন। ছাত্রজীবনে ক্রিকেট খেলোয়াড় হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিলেন সমাজবিজ্ঞানী অনুপম সেন। তিনি মূলত ওপেনিংয়ে ব্যাট করতে নামতেন। চিটাগাং ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের হয়ে ক্রিকেট খেলতেন।

পারিবারিক জীবন : ১৯৩০ খ্রিষ্টাব্দে চট্টগ্রামের অস্ত্রাগার লুণ্ঠনের অন্যতম নায়ক শ্রী লোকনাথ বলের ভাইয়ের মেয়ে উমা সেনগুপ্তার সঙ্গে ড. অনুপম সেনের বিয়ে হয় ১৯৬৬ খ্রিষ্টাব্দে । তাদের একমাত্র মেয়ে ইন্দ্রানী সেনগুহ। পারিবারিক জীবনের কথা বলতে গিয়ে ড. অনুপম সেন বলেন, ‘২০০৯ থেকে ২০২০ খ্রিষ্টাব্দে মৃত্যুর আগপর্যন্ত আমার স্ত্রী শয্যাশায়ী ছিল। ব্রেন স্ট্রোকের পর থেকে তিনি আর বিছানা থেকে উঠতে পারেননি।’ জানা যায়, পুরো এ সময়টা সন্ধ্যায় বাসায় যাওয়ার পর থেকে সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসা পর্যন্ত ওষুধ খাওয়া থেকে শুরু করে পুরো শুশ্রƒষা ড. সেন নিজেই করতেন। বর্তমানে তার মেয়েও একজন সমাজবিজ্ঞানী।

স্বাধীনতা যুদ্ধে অনুপম সেন : ১৯৬৯ খ্রিষ্টাব্দে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদানের পর ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের জানুয়ারিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন অনুপম সেন। তখন সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন ড. শামসুল হক, পরে যিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে আসেন। ৭ মার্চে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণের পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির উদ্যোগে লালদীঘি ময়দানে গণতান্ত্রিক অধিকারের পক্ষে প্রতিদিন কর্মসূচি শুরু করেন। এ সময় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা বিভাগের তখনকার শিক্ষক আবু জাফর, চট্টগ্রাম কলেজ বাংলা বিভাগের শিক্ষক ও নাট্যকার মমতাজউদ্দীন আহমেদ এবং ইংরেজির অধ্যাপক কবি মোহাম্মদ রফিক ড. সেনের সঙ্গে এক হয়ে কাজ করেন। এ সময় প্রতিদিন ট্রাকে করে র‌্যালি করার পর সবাই লালদীঘিতে এসে জমায়েত হতো। ২৪ মার্চ লালদীঘি থেকে তা চকবাজার প্যারেড মাঠে স্থানান্তর করা হয়েছিল। আর সেদিন রাতে মঞ্চে নাটক চলাকালীন চট্টগ্রাম বন্দরে সোয়াত জাহাজ অস্ত্র নিয়ে ভেড়ানোর খবর পাওয়ার পর সবাই অনুষ্ঠান থেকেই সেখানে যায়। পরে যুদ্ধকালীন খাগড়াছড়ির রামগড় হয়ে ভারতের ত্রিপুরার সাব্রুমে প্রবেশ করেন। সেখান থেকে আগরতলা হয়ে কলকাতায় যান। আর কলকাতায় গিয়ে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে নানা সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে অংশ নিয়েছিলেন। সে সময় প্রফেসর আনিসুজ্জামান, রামেন্দু মজুমদার, জহির রায়হান, কবি আল মাহমুদসহ একসঙ্গে ছিলেন বলেন জানান অনুপম সেন। প্রয়াত জাতীয় অধ্যাপক দেশবরেণ্য শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান অনুপম সেন সম্পর্কে বলেছিলেন, ‘অনুপম নেন একজন সমাজ সচেতন মানুষ। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতিরূপে এবং ব্যক্তিগতভাবে আশির দশকের অধিকাংশ সময়ে তিনি স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে সম্পৃক্ত ছিলেন। মুুক্তিযুদ্ধের সময়ও তার একটা ভূমিকা ছিল। গণতন্ত্র, ধর্ম নিরপেক্ষতা ও সমাজতন্ত্রের প্রতি তার অঙ্গীকার অত্যন্ত দৃঢ়। বাঙালি জাতীয়তাবাদকে স্বীকার করে নিয়েও তিনি আন্তর্জাতিকভাবে সমর্পিত।’

প্রথম শিক্ষকতা জীবন : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পরীক্ষা দেওয়ার পর ফলাফল প্রকাশের আগে ১০ মাস (১৯৬৩-৬৪ খ্রিষ্টাব্দ) শিক্ষকতা করেছিলেন চট্টগ্রামের সরকারি সিটি কলেজে। আর তখন এই কলেজের ছাত্র ছিলেন চট্টগ্রামের অবিসংবাদিত নেতা এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী। পরে তিনি ১৯৬৫ খ্রিষ্টাব্দে তিনি বুয়েটে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন। সেখানে সমাজবিজ্ঞানের পাশাপাশি টাউন প্ল্যানিং নিয়ে পড়াতেন। ১৯৬৬ খ্রিষ্টাব্দে যোগ দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে।

২০১৪ খ্রিষ্টাব্দে একুশে পদকপ্রাপ্ত আন্তর্জাতিক সমাজবিজ্ঞানীয় ড. অনুপম সেন সম্পর্কে বলতে গিয়ে বিখ্যাত কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক বলেছিলেন, ‘আমাদের দেশের শিক্ষিত মানুষদের মধ্যে অন্যতম প্রধান মানুষ হচ্ছেন অনুপম সেন। যাকে পন্ডিত বলে এবং পান্ডিত্যের সঙ্গে যাদের প্রজ্ঞা আছে, অনেকদূর পর্যন্ত চিন্তা করতে পারে, শুধু নলেজ নয়, উইজডম পর্যন্ত আছে, তাদের মধ্যে অনুপম সেন একজন। এ মানুষটিকে আমি অসম্ভব শ্রদ্ধা করি এবং ভালোবাসি। আর আমি তার গুণের প্রমাণ অনেক পেয়েছি।’

এদিকে বিশিষ্ট লেখক আলী প্রয়াসের সম্পাদনায় অনুপম সেনকে নিয়ে কিছু বই প্রকাশিত হয়েছে। এ ছাড়া ড. সেনের নিজের লেখা প্রায় ১৭টি বই প্রকাশিত হয়েছে। কেমন চট্টগ্রাম দেখতে চান? এমন প্রশ্নের জবাবে ড. অনুপম সেন বলেন, ‘চট্টগ্রামের সবুজ ফিরিয়ে আনতে হবে। চট্টগ্রামের পাহাড়গুলোকে রক্ষা করতে হবে। এ সবুজের জন্যই আমরা সিআরবি রক্ষার জন্য আন্দোলন করেছিলাম।’


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
রোববার থেকে সরকারি প্রাথমিকে মর্নিং স্কুল, খোলার প্রজ্ঞাপন জারি - dainik shiksha রোববার থেকে সরকারি প্রাথমিকে মর্নিং স্কুল, খোলার প্রজ্ঞাপন জারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শনিবারের ছুটি বহাল থাকছে - dainik shiksha প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শনিবারের ছুটি বহাল থাকছে ফের আন্দোলনের হুশিয়ারি চুয়েট শিক্ষার্থীদের - dainik shiksha ফের আন্দোলনের হুশিয়ারি চুয়েট শিক্ষার্থীদের গরমে কলেজে কোচিং, দুদিনে অসুস্থ ৮ ছাত্রী - dainik shiksha গরমে কলেজে কোচিং, দুদিনে অসুস্থ ৮ ছাত্রী কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে নিবন্ধিত শিক্ষক নিয়োগে এনটিআরসির নতুন নির্দেশনা - dainik shiksha নিবন্ধিত শিক্ষক নিয়োগে এনটিআরসির নতুন নির্দেশনা দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে জাল সনদে চাকরি করছে কয়েক হাজার হেলথ টেকনোলজিস্ট - dainik shiksha জাল সনদে চাকরি করছে কয়েক হাজার হেলথ টেকনোলজিস্ট ফের আন্দোলনের হুশিয়ারি চুয়েট শিক্ষার্থীদের - dainik shiksha ফের আন্দোলনের হুশিয়ারি চুয়েট শিক্ষার্থীদের আইনি লড়াইয়ে যাচ্ছেন শিক্ষক নেতা কাওছার শেখ - dainik shiksha আইনি লড়াইয়ে যাচ্ছেন শিক্ষক নেতা কাওছার শেখ please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0060479640960693