ডিএমএস অ্যাপে পরিদর্শন প্রতিবেদন পাঠাতে হবে শিক্ষা কর্মকর্তাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক |

বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একাডেমিক সুপারভিশন ও মনিটরিং জোরদার করতে নতুন উদ্যোগ নিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। এ জন্য নিয়মিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনের প্রতিবেদন ফ্রিকোয়েন্সি অনুযায়ী ডিএমএস অ্যাপ বা ড্যাশবোর্ডের মাধ্যমে পাঠাতে মাঠ পর্যায়ের শিক্ষা কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে অধিদপ্তর। এতদিন মাঠ পর্যায়ের শিক্ষা কর্মকর্তারা মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মনিটরিং ও ইভ্যালুয়েশান উইংয়ে প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনের প্রতিবেদন পাঠাতেন। কিন্তু এর পরিবর্তে এখন থেকে প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনের প্রতিবেদন ডিএমএস অ্যাপের মাধ্যমে অধিদপ্তরে পাঠাতে হবে কর্মকর্তাদের।

রোববাব বিষয়টি জানিয়ে আদেশ জারি করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। অধিদপ্তর থেকে আদেশটি সব জেলা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের পাঠানো হয়েছে। 

ডিএমএস অ্যাপের মাধ্যমে রিপোর্ট পাঠাতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পারফমেন্সের ভিত্তিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে পাঁচটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করে দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। ক্যাটাগরি অনুসারে প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করতে হবে শিক্ষা কর্মকর্তাদের। এ জন্য প্রতিষ্ঠানে ক্যাটাগরি অনুসারে একটি তালিকাও প্রকাশ করা হয়েছে। 

অধিদপ্তর বলেছে, এ ক্যাটাগরির প্রতিষ্ঠান প্রতি তিন মাসে একবার ও বছরে চারটি পরিদর্শন করতে হবে শিক্ষা কর্মকর্তাদের। বি ক্যাটাগরির প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে পরিদর্শন হবে প্রতি দুই মাসে এক বার বা বছরে ছয়টি। সি ক্যাটাগরির প্রতিষ্ঠান প্রতি দেড় মাসে একদিন বা বছরে আটটি পরিদর্শন করতে হবে শিক্ষা কর্মকর্তাদের। আর ডি ও ই ক্যাটাগরির প্রতিষ্ঠানে প্রতিমাসে একবার বা বছরে ১২টি পরিদর্শন করতে হবে। 

মাঠ পর্যায়ের শিক্ষা কর্মকর্তাদের পাঠানো আদেশে অধিদপ্তর বলছে,  ২০৩০ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে এসডিজি-৪ এর লক্ষ্য মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতকরণ এবং ২০৪১ খ্রিষ্টাব্দে মধ্যে উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য পূরণের জন্য প্রয়োজন শিক্ষার কার্যকর একাডেমিক সুপরভিশন এবং মনিটরিং কার্যক্রম জোরদার করা। এ লক্ষ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন বিভিন্ন শিক্ষা অফিসে কর্মরত কর্মকর্তাদের নিয়মিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করে নির্ধারিত হকে মনিটরিং প্রতিবেদন অধিদপ্তরের মনিটরিং অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশান উইংয়ে পাঠান। প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে নিয়মিত ও কার্যকর একাডেমি সুপারভিশন এবং মনিটরিং নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের ২০২২ খ্রিষ্টাব্দ থেকে ফ্রিকোয়েন্সি অনুসারে বার্ষিক পরিদর্শন ক্যালেন্ডার ডিএমএস অ্যাপের ড্যাশবোর্ডের মাধ্যমে পাঠাতে হবে। 

অধিদপ্তর আরও জানিয়েছে, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক প্রণীত আইএস এএস-২০১৯ এ প্রতিবেদনের আলোকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে পারফর্মেন্সের ভিত্তিতে পাঁচটি ক্যাটাগরিতে শ্রেণিবিন্যাস করা হয়েছে । পাঁচটি ক্যাটাগরির প্রতিষ্ঠানই যেন বছরব্যাপি পরিদর্শন হয় তাই সব ক্যাটাগরির স্কুল পরিদর্শন হবে। মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বিদ্যালয় মনিটরিং ও একাডেমিক সুপারভিশনের বার্ষিক ফ্রিকুয়েন্সি অনুসার প্রতিষ্ঠানগুলো মনিটরিং হবে। 

মনিটরিং ও একাডেমিক সুপারভিশনের বার্ষিক ফ্রিকুয়েন্সিতে অধিদপ্তর জানিয়েছে, এ ক্যাটাগরির প্রতিষ্ঠান প্রতি তিন মাসে একবার ও বছরে চারটি পরিদর্শন করতে হবে শিক্ষা কর্মকর্তাদের। বি ক্যাটাগরির প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে পরিদর্শন হবে প্রতি দুই মাসে এক বার বা বছরে ছয়টি। সি ক্যাটাগরির প্রতিষ্ঠান প্রতি দেড় মাসে একদিন বা বছরে আটটি পরিদর্শন করতে হবে শিক্ষা কর্মকর্তাদের। আর ডি ও ই ক্যাটাগরির প্রতিষ্ঠানে প্রতিমাসে একবার বা বছরে ১২টি পরিদর্শন করতে হবে। 

নির্দেশনায় অধিদপ্তর বলছে, সব জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা তার জেলার প্রত্যেক উপজেলা বা থানা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও অন্যান্য পরিদর্শনকারী কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে আগামী ৩০ মার্চের মধ্যে একটি সমন্বয় সভা করবেন। তাঁর জেলার মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো পরিদর্শনের জন্য ক্লাস্টার ভিত্তিক সব কর্মকর্তার (জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, সহকারী জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, সহকারী পরিদর্শক, থানা-উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, সহকারী থানা বা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, একাডেমিক সুপারভাইজার) মধ্যে বণ্টন করবেন এবং ডিএমএস অ্যাপ বা ড্যাশবোর্ড এ ইনপুট দেবেন। পরিদর্শনকারী কর্মকর্তার স্বল্পতা থাকলে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা প্রয়োজনবোধে গবেষণা কর্মকর্তাকে তার নির্ধারিত দায়িত্ব পালন সাপেক্ষে পরিদর্শনের দায়িত্ব দিতে পারবেন। এ সমন্বয় সভায় পরিচালক (আঞ্চলিক) প্রধান অতিথি এবং উপ-পরিচালক (মাধ্যমিক) বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। সকল পরিদর্শনকারী কর্মকর্তা নির্ধারিত ওয়েবসাইট (dshe.mmcm.gov.bd) বা গুগোল প্লে ষ্টোর থেকে ডিএমএস (Digital Monitoring System) অ্যাপ ডাউনলোড করে নিজ নিজ আইডি এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করে নির্দেশিকা অনুযায়ী বার্ষিক পরিদর্শন ছক পূরণ করবেন।

অধিদপ্তর বলছে, প্রত্যেক জেলা এবং উপজেলা বা থানা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাসে নুন্যতম ৫টি বিদ্যালয়ে পরিদর্শন করবেন। ক্যাটাগরিভুক্ত বিদ্যালয়ের বাইরে কোন বিদ্যালয় থাকলে তা ক্লাস্টারে অন্তর্ভুক্ত করে মন্তব্য কলামে উল্লেখ করতে বলা হয়েছে কর্মকর্তাদের।

দৈনিক শিক্ষাডটকমের পাঠকদের জন্য ডিএমএস অ্যাপ বা ড্যাশবোর্ডের মাধ্যমে পরিদর্শন প্রতিবেদন পাঠানোর ম্যানুয়াল এবং ক্যাটাগরি ওয়ারি প্রতিষ্ঠানের তালিকা তুলে ধরা হলো। 

ম্যানুয়াল দেখতে ক্লিক করুন :

ক্যাটাগরি অনুসারে প্রতিষ্ঠানের তালিকা দেখতে ক্লিক করুন :

শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে সয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।

দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE  করতে ক্লিক করুন।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সভা ৩০ এপ্রিল - dainik shiksha ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সভা ৩০ এপ্রিল সনদের কাগজ কীভাবে পায় কারবারিরা, তদন্তে নেমেছে ডিবি - dainik shiksha সনদের কাগজ কীভাবে পায় কারবারিরা, তদন্তে নেমেছে ডিবি কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে বুয়েটে সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়লো হিজবুত তাহরীরের লিফলেট বিতরণ - dainik shiksha বুয়েটে সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়লো হিজবুত তাহরীরের লিফলেট বিতরণ সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি - dainik shiksha সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি ফাঁসপ্রশ্নে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ, নজরদারিতে যারা - dainik shiksha ফাঁসপ্রশ্নে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ, নজরদারিতে যারা এইচএসসির ফল জালিয়াতির অডিয়ো ফাঁস - dainik shiksha এইচএসসির ফল জালিয়াতির অডিয়ো ফাঁস please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0050928592681885