তথ্যপ্রযুক্তির যুগে শিক্ষাব্যবস্থায় অভূতপূর্ব পরিবর্তন হয়েছে। শিক্ষাক্ষেত্রে ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে ইন্টারনেটের মারফতে শিক্ষা পৌঁছে গেছে প্রান্তিক অঞ্চল পর্যন্ত। প্রযুক্তিগত উন্নয়নের ফলে গতানুগতিক শিক্ষাব্যবস্থায় যে আমূল পরিবর্তন সাধিত হয়েছে, তা অস্বীকার করার উপায় নেই। বুধবার (২ জুন) ইত্তেফাক পত্রিকায় প্রকাশিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানা যায়।
চিঠিতে আরও জানা যায়, কিন্তু কয়েকদিন ধরে লক্ষ করা যাচ্ছে যে, শিক্ষার্থীদের ডাটাবেইজ ও ইউনিক আইডি তৈরি করতে গিয়ে ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। প্রয়োজন হচ্ছে তাদের জন্মসনদের অনলাইন কপি। শুধু তাই নয় এর সঙ্গে প্রয়োজন হচ্ছে বাবা-মায়ের জন্মসনদের অনলাইন কপি! কয়েকবছর আগেও বাবা-মায়ের জাতীয় পরিচয়পত্রই শিক্ষার্থীদের সব কাজের জন্য যথেষ্ট ছিল।
আরও পড়ুন : দৈনিক শিক্ষাডটকম পরিবারের প্রিন্ট পত্রিকা ‘দৈনিক আমাদের বার্তা’
বাবা-মায়ের জন্মসনদ এখন অনেকক্ষেত্রেই দুর্লভ হয়ে পড়েছে। জাতীয় পরিচয়পত্রের সঙ্গে জন্মসনদও তলব করা হচ্ছে। এটি ভোগান্তি ছাড়া কিছু নয়। অন্যদিকে এটি উপার্জনের মোক্ষম সুযোগ হয়ে ধরা দিয়েছে অসাধু অনলাইন-কর্মীদের কাছে। এ সুযোগে তারা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে লুফে নিচ্ছে মাত্রাতিরিক্ত অর্থ, যা এই মহামারিকালে বাড়তি ভোগান্তির কারণ। প্রান্তিক অঞ্চল হলেও তাঁরা শিক্ষার ক্ষেত্রে আপস করেন না। শুধু এ কাজেই নয়, লক্ষ করা যায় অনলাইন বিভিন্ন কার্যক্রমেই শিক্ষার্থীদের এমন দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে। তাই শিক্ষাক্ষেত্রে ডিজিটালাইজেশনে আরো মসৃণতার প্রয়োজনবোধ করি। প্রশাসনের উচিত এ ব্যাপারে দ্রুত দৃষ্টি দেওয়া।
লেখক: মির্জানা আফরিন,শিক্ষার্থী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব ও ফেসবুক পেইজটি ফলো করুন