আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আগামী ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রস্তুতি নিচ্ছে আওয়ামী লীগ। আর জাতীয় নির্বাচন এলেই দেশের রাজনীতিতে নানা ধরনের গুজব ডালপালা বিস্তার করে। নির্বাচনে বিএনপির সঙ্গে কোনো সংঘাত নয়, প্রতিযোগিতা করতে চায় আওয়ামী লীগ।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনে কোনো পক্ষপাতিত্ব এবং কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ হবে না। শেখ হাসিনার সরকার শুধু রুটিন দায়িত্ব পালন করবে। সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে নির্বাচন কমিশনকে সার্বিক সহযোগিতা করবে।
শুক্রবার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের যৌথসভায় এ কথা বলেন।
বিএনপি নিজের ঘরেই গণতন্ত্রকে জিম্মি করে রেখেছে তারা দেশে গণতন্ত্র আনবে কিভাবে-প্রশ্ন তুলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, বিএনপি জানে নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগকে হারাতে পারবে না। কাজেই, তারা এখন ষড়যন্ত্র করে চোরাগলি পথে সরকারকে হটাতে চাইছে।
তিনি বলেন, আগামী ১১ মার্চ ময়মনসিংহে ও ১৮ মার্চ বরিশালে বিভাগীয় মহাসমাবেশ করবে আওয়ামী লীগ। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি ষড়যন্ত্র ছাড়া কিছু বোঝে না। আওয়ামী লীগ শুরু থেকেই বিএনপিকে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ভেবে এসেছে কিন্তু তারা আমাদের সাথে শত্রুতা চেযেছে। এর অপরিহার্য অংশ ষড়যন্ত্র। বিএনপির আগুন সন্ত্রাসের আশঙ্কায় আমরা শান্তি সমাবেশ করছি। আগামী নির্বাচন পর্যন্ত মাঠে থাকবো। ভালোর জন্য প্রস্তুতি নেবো, খারাপের জন্য সতর্ক থাকবো। বিএনপির সঙ্গে পাল্টাপাল্টি নয়, আমাদের নিজস্ব কর্মসূচি আছে।
যৌথ সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম ও ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, এস এম কামাল হোসেন, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়াসহ কেন্দ্রীয় ও সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা।