ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে চারজন ঢাকার এবং বাকি পাঁচজন ঢাকার বাইরের বাসিন্দা। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক হাজার ১৯০ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন দুই হাজার ৬০৯ জন।
মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের ইনচার্জ মো. জাহিদুল ইসলামের সই করা ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, সোমবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ৮টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন দুই হাজার ৬০৯ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৫৬১ জন ও ঢাকার বাইরের দুই হাজার ৪৮ জন।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন দুই লাখ ৪৪ হাজার ৬৯৮ জন। তাদের মধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ৯৩ হাজার ১০৫ ও ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোতে এক লাখ ৫১ হাজার ৫৯৩ জন ভর্তি হয়েছেন।
একই সময়ে দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন এক হাজার ১৯০ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার ৭৩৯ জন এবং ঢাকার বাইরের ৪৫১ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন দুই হাজার ৫২৫ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৫৩৮ জন এবং ঢাকার বাইরের এক হাজার ৯৮৭ জন।
চলতি বছর আক্রান্তদের মধ্যে এ পর্যন্ত হাসপাতাল থেকে মোট ছাড়পত্র পেয়েছেন দুই লাখ ৩৫ হাজার ২৮৪ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৮৯ হাজার ৯৫৬ জন এবং ঢাকার বাইরের এক লাখ ৪৫ হাজার ৩২৮ জন।
ঢাকাসহ সারাদেশে বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি আছেন আট হাজার ২২৪ জন ডেঙ্গুরোগী। তাদের মধ্যে ঢাকায় দুই হাজার ৪১০ জন এবং ঢাকার বাইরে ভর্তি রয়েছেন পাঁচ হাজার ৮১৪ জন।
২০২২ খ্রিষ্টাব্দে ডেঙ্গুতে দেশের ইতিহাসের সর্বোচ্চ ২৮১ জন মারা যান। ওই বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে ডেঙ্গুতে ২৭ জনের মৃত্যু হয়। একই সঙ্গে আলোচ্য বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ৬২ হাজার ৩৮২ জন।
২০২০ খ্রিষ্টাব্দে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গু সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ খ্রিষ্টাব্দে সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। একই বছর দেশব্যাপী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল।