সারাদেশে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা চলতি বছর ডেঙ্গুতে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু। এসময়ে সংক্রমিত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ৫৩৩ জন। এ নিয়ে চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১৮ জুলাই পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মোট মৃত্যু ১২৭ জনের এবং মোট সংক্রমিত হয়েছেন ২৪ হাজার জন।
সোমবার (১৭ জুলাই) সকাল ৮টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ১ হাজার ৫৩৩ জনের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৭৭৯ জন এবং ঢাকার বাইরে বিভিন্ন অঞ্চলের রয়েছেন ৭৫৪ জন।
মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের ইনচার্জ ডা. মো. জাহিদুল ইসলামের সই করা ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ১ হাজার ৩৯২ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৬৭৪ জন এবং ঢাকার বাইরের ৭১৮ জন। অন্যদিকে ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ১৩ জনের মধ্যে ঢাকার ৯ জন এবং ঢাকার বাইরে বিভিন্ন অঞ্চলের ৮ জন রয়েছেন।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১৮ জুলাই পর্যন্ত আক্রান্তদের মধ্যে মোট সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন ১৮ হাজার ৩০৪ জন। তাদের মধ্যে ঢাকায় ১১ হাজার ৯৩৭ জন এবং ঢাকার বাইরে রয়েছেন ৬ হাজার ৩৬৭ জন।
ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৫ হাজার ৫৬৯ জন। তাদের মধ্যে ঢাকায় ৩ হাজার ৪৪৩ জন এবং ঢাকার বাইরের ২ হাজার ১২৬ জন।
চলতি বছর মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত ২৪ হাজার জনের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ১৫ হাজার ৪৭৬ জন এবং ঢাকার বাইরের রয়েছেন ৮ হাজার ৫২৪ জন।
২০২২ খ্রিষ্টাব্দে ডেঙ্গুতে দেশের ইতিহাসের সর্বোচ্চ ২৮১ জন মারা যান। ওই বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে ডেঙ্গুতে ২৭ জনের মৃত্যু হয়। একই সঙ্গে আলোচ্য বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ৬২ হাজার ৩৮২ জন।
২০২০ খ্রিষ্টাব্দে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গু সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ খ্রিষ্টাব্দে সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। একই বছর দেশব্যাপী ডেঙ্গু প্রাণ কাড়ে ১০৫ জনের।