ঢাকা আইনজীবী সমিতির হাজিরা কাগজের দাম ১০ টাকা থেকে এখন ৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। অনতিবিলম্বে পরিবর্তিত মূল্য কার্যকর হবে বলে ঢাকা বার সূত্রে জানা গেছে।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ঢাকা বারের অ্যাডহক কমিটির সভাপতি খোরশেদ মিয়া আলম সাধারণ সভায় সভাপতিত্ব করেন।
ঢাকার নিম্ন আদালতে দু’টি আইনজীবী সমিতি রয়েছে। একটি ঢাকা বার অ্যাসোসিয়েশন, অপরটি ঢাকা মেট্রোপলিটন বার অ্যাসোসিয়েশন। দুই আইনজীবী সমিতিরই আলাদা ওকালতনামা, বেইলবন্ড ও হাজিরা কাগজ রয়েছে। যে আইনজীবী যে সমিতির সদস্য তারা সেই সমিতির ওকালতনামা, বেইলবন্ড ও হাজিরা কাগজ ব্যবহার করবে এটাই সাধারাণ নিয়ম।
ঢাকা আইনজীবী সমিতির সদস্য সংখ্যা প্রায় ৩২ হাজার। অপরদিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন বার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৩‘শ। ঢাকা আইনজীবী সমিতি ওকালতনামা, বেইলবন্ড ও হাজিরা কাগজের যা মূল্য রাখা হয় মেট্রোপলিটন বার অনৈতিকভাবে তাদের ওকালতনামা বেইলবন্ড ও হাজিরা কাগজের মূল্য কম রাখে। ফলে ঢাকা বারের অনেক নীতিহীন আইনজীবী সামান্য কমের জন্য নিজ-নিজ সমিতির ওকালতনামা বেইলবন্ড ও হাজিরা কাগজ ব্যবহার না করে মেট্রোপলিটন বারের ওকালতনামা, বেইলবন্ড ও হাজিরা কাগজ ব্যবহার করেন। এতে করে মাত্র সাড়ে ৩‘শ সদস্য নিয়েও আর্থিকভাবে বেশ শক্তিশালী মেট্রোপলিটন বার।
ঢাকা বারের অ্যাডহক কমিটির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নজরুল ইসলাম জানান, ঢাকা বারের হাজিরা কাগজের মূল্য ৫ টাকা ছিলো। কিন্তু কয়েকমাস আগে বারের আগের কমিটি ৫ টাকার হাজিরা কাগজের মূল্য আরো ৫ টাকা বাড়িয়ে ১০ টাকা নির্ধারণ করে। এতে করে ঢাকা বারের হাজিরা কাগজ বিক্রি উল্লেখযোগ্য হারে কমে যায়।
ঢাকা বারের এক সাবেক সভাপতি ও সেক্রেটারিও নিজ সমিতির হাজিরা কাগজ ব্যবহার না করে কম মূল্য হওয়ায় মেট্রোপলিটন বারের হাজিরা কাগজ ব্যবহার করছেন এমন অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছিলো। এমন অবস্থায় সাধারণ আইনজীবীদের কাছ থেকে হাজিরা কাগজের মূল্য কমানোর জোর দাবি ছিলো। সেই প্রেক্ষিতে আমরা সাধারাণ সভা আহ্বান করি। সভায় হাজিরা কাগজের মূল্য আগের দামেই অর্থাৎ ৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
ঢাকা বারের অ্যাডহক কমিটির সভাপতি খোরশেদ মিয়া আলম জানান, গত ১০ বছর হাজিরা কাগজের মূল্য একই ছিলো। কিন্তু গত কমিটি কোনোরূপ শুনানি গ্রহণ না করে সাধারণ সভার মতামত না নিয়ে একতরফাভাবে হাজিরা কাগজের দাম ১০ টাকা করে দেয়। এতে করে বিচারপ্রার্থীদের মামলার খরচ বেড়ে যাচ্ছিলো। আইনজীবীরা বারের কাগজ ব্যবহার না করে অন্য সমিতির কাগজ কিংবা কার্টিজ পেপার ব্যবহার করছিলো। এতে করে বারের হাজিরা বিক্রি কমে যায়। বর্তমানে হাজিরা কাগজের দাম কমলেও এর ব্যবহার বেড়ে যাওয়ার ফলে বারের কোনো ক্ষতি হবে না।