বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে শহীদ হওয়া ঢাকা ইমপিরিয়াল কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী মো. জিল্লুর শেখ-এর রূহের মাগফিরাত কামনা করে সম্প্রতি কলেজ ক্যাম্পাসে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
এ সময় কলেজের অধ্যক্ষ আরিফ আহমদ শহীদ মো. জিল্লুর শেখ-এর বাবার হাতে কলেজের শোকবার্তা এবং আর্থিক সহযোগিতা বাবদ ১ লাখ টাকার চেক দেন। পরবর্তীতে শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী কলেজের সামনের সড়কটি শহীদ মো. জিল্লুর শেখ-এর নামে নামকরণের জন্য ইস্টার্ন হাউজিং লি. কর্তৃপক্ষ বরাবর আবেদন করা হয়।
গতকাল রোববার কলেজ অধ্যক্ষ, বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এবং দ্বীপ হালদার-এর গাইড শিক্ষক মো. আয়নাল হক, কলেজের পিআরও মোরশেদ আলম শিশির এবং দ্বীপ-এর সহপাঠী বন্ধু ফারদিন ও মোবিন বিগত ১৯ জুলাই আন্দোলন চলাকালীন বাম পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারাত্মকভাবে আহত দ্বীপ হালদারকে দেখতে শিক্ষার্থীর বাড়ি নবাবগঞ্জ উপজেলার শংকরদিয়া গ্রামে যান।
এ সময় সহায়তা টিম তার চিকিৎসার খোঁজখবর নেন। পরে কলেজ অধ্যক্ষ দ্বীপ-এর মায়ের হাতে চিকিৎসার ব্যয় বাবদ নগদ অর্থ দেন এবং ভবিষ্যতে আরো সহযোগিতার আশ্বাস দেন। গতকাল সোমবার বিজ্ঞান বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ আবু বকর সিদ্দিককে দেখতে অধ্যক্ষসহ সহায়তা টিম তার বাসায় যান, চিকিৎসার খোঁজখবর নেন এবং চিকিৎসার ব্যয় বাবদ নগদ টাকা দেন।
এ ছাড়া অধ্যক্ষের কার্যালয়ে দ্বাদশ শ্রেণির ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ সাদাত-এর চিকিৎসার খোঁজখবর নেন এবং চিকিৎসার ব্যয় বাবদ নগদ টাকা দেন। পাশাপাশি তিনি ভবিষ্যতে আরো সহযোগিতার আশ্বাস দেন। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন উপাধ্যক্ষ মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন মৃধা, জীববিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক এবং গাইডশিক্ষক এস এম মাহবুবুল আলম তামিম এবং আইসিটি বিভাগের প্রভাষক গোলাম মাহাবুব ফাহাদ প্রমুখ। উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী আন্দোলনের সমন্বয়ক এবং সাধারণ শিক্ষার্থীরা ঢাকা ইমপিরিয়াল কলেজকে ধুমপান ও রাজনীতিমুক্ত রাখার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।