ঢাকা কলেজ : গৌরবের ১৮০ বছর

ড. মো. আব্দুল কুদ্দুস সিকদার |

উপমহাদেশে অনেক ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যেসব প্রতিষ্ঠানের খ্যাতি ও সুনামের কথা অনেকেই স্মরণ করেন। ওসব প্রতিষ্ঠান এখনো টিকে থাকলেও কালের আবর্তে হারিয়ে গেছে সেগুলোর সুনাম ও খ্যাতি। সেসব প্রতিষ্ঠান আজ আর স্বমহিমায় সমুজ্জ্বল নয়। কিন্তু ঢাকা কলেজ এমন একটি ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, যা ১৮৪১ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিগত ১৮০ বছর ধরে তার খ্যাতি, সুনাম ও জনপ্রিয়তা একইভাবে ধরে রেখেছে। ঢাকা  কলেজ তার গৌরবোজ্জল ভূমিকায় এখনো অনন্য। 

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের প্রথম বছরেই (১৮৫৮ খ্রিষ্টাব্দে) ঢাকা কলেজ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হয়। ১৯৯২ খ্রিষ্টাব্দ থেকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা এই কলেজটিকে ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দের ফেব্রুয়ারি মাসে তৃতীয়বারের মতো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হয়।

শিক্ষায় অবদান রাখার পাশাপাশি ৫২-র ভাষা আন্দোলন, ৬২-র শিক্ষা আন্দোলন, ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ, ৯০-এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনসহ সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামে এ কলেজের ছাত্রদের অবদান অপরিসীম। ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের মহান মুক্তিযুদ্ধে এ কলেজের ৯ জন ছাত্র শহিদ হন। প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান, ’আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি...’র রচয়িতা আবদুল গাফফার চৌধুরী, বঙ্গবন্ধুর দুই সন্তান শেখ কামাল এবং শেখ জামাল ঢাকা কলেজের ছাত্র। ঢাকা কলেজের কৃতী, মেধাবী ও যশস্বী শিক্ষার্থীদের অনেকেই আজ স্বনামখ্যাত। কথাসাহিত্যিক আখতারুজ্জামান ইলিয়াস, শিক্ষাবিদ আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ প্রমুখ গুণী তাদের জ্ঞানের আলো বিলিয়ে ঢাকা কলেজকে সমৃদ্ধ করেছেন।

প্রতিষ্ঠার পটভূমি : ১৮৪১ খ্রিষ্টাব্দের ২০ নভেম্বর উপমহাদেশের প্রথম আধুনিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয় ঢাকা কলেজ।  ১৮৩৫ খ্রিষ্টাব্দের ২০ এপ্রিল দেশের শিক্ষাব্যবস্থা সম্পর্কিত দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষ জেনারেল কমিটি অভ পাবলিক ইনস্ট্রাকশন তৎকালীন গভর্নর জেনারেল লর্ড বেন্টিংকের কাছে এদেশে ইংরেজি  এবং বিজ্ঞান শিক্ষা চালুর সুপারিশ করে একটি প্রতিবেদন পেশ করে। বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ওই বছরের ১৫ জুলাই আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয় ঢাকা ইংলিশ সেমিনারি (ঢাকা গভর্নমেন্ট স্কুল) নামে একটি স্কুল, যা বর্তমানে ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল নামে পরিচিত। এ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ফলে এ অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের সামনে পাশ্চাত্যের কলা, বিজ্ঞান এবং দর্শন উন্মোচিত হতে থাকে। 

শিক্ষা এবং সমাজব্যবস্থার এ ইতিবাচক পরিবর্তনে সে সময়ের গভর্নর জেনারেল লর্ড অকল্যান্ড এবং জেনারেল কমিটি অব পাবলিক ইনস্ট্রাকশন কতগুলো কেন্দ্রীয় কলেজ প্রতিষ্ঠার সুপারিশ করেন। প্রস্তাবিত ব্যয়ের কথা উল্লেখ এবং কর্তৃপক্ষ দ্বারা তার যথাযথ অনুমোদনের পর ১৮৪১ খ্রিষ্টাব্দে ঢাকা ইংলিশ সেমিনারি স্কুলকে (ঢাকা গভর্নমেন্ট স্কুল) কলেজে রূপান্তরিত করা হয়। নাম দেয়া হয় ঢাকা সেন্ট্রাল কলেজ (সংক্ষেপে ঢাকা কলেজ) এবং ঢাকা ইংলিশ সেমিনারি স্কুলের নাম দেয়া হয় ঢাকা গভর্নমেন্ট স্কুল (পরবর্তীকালে ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল)।  

শিক্ষা কার্যক্রমের বিকাশ : ১৮৫৪ খ্রিষ্টাব্দে চার্লস উডের ‘এডুকেশন ডেসপাচ’এর (শিক্ষানীতি) বদৌলতে ভারতে আধুনিক শিক্ষায় শৃঙ্খলা ও সমন্বয় তৈরি হয়। নতুন নীতির আলোকে ১৮৫৪ খ্রিষ্টাব্দ থেকে ঢাকা কলেজের মেধাবী ছাত্ররা কলকাতা মেডিকেল কলেজে ডাক্তারি পড়ার সুযোগ পায়। ১৮৫৭ খ্রিষ্টাব্দের ২৪ জানুয়ারি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা বাংলার আধুনিকতার ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। ঢাকা কলেজের জন্যও বিষয়টি ছিল গুরুত্বপূর্ণ। কারণ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠার পর ঢাকা কলেজ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হয়। ফলে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী উভয়কে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত কোর্স ও শিক্ষাক্রম অনুসরণ করতে হয়। তবে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হলেও ঢাকা কলেজের কাঠামোগত বা অন্য পরিবর্তনের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে ভাবা হয়নি তখন। পূর্ববঙ্গের স্কুল-কলেজ পরিদর্শক তার ১৮৫৯-৬০ খ্রিষ্টাব্দের প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, ঢাকা কলেজে যে কোর্স পড়ানো হয়, তা লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএ পরীক্ষার কোর্সের সমতুল্য এবং কোর্স সমাপনে ছাত্রদের জ্ঞানের পাঁচটি শাখায় পরীক্ষা দিতে হয়। এ পাঁচটি বিষয় ছিল ইংরজিসহ দুটি ভাষা, ইতিহাস এবং ভূগোল, অঙ্ক, প্রাকৃতিক বিজ্ঞান (পদার্থবিদ্যা) এবং মানসিক নৈতিক বিজ্ঞান।  

১৮৭৫ খ্রিষ্টাব্দে ঢাকা কলেজে বিজ্ঞানের নতুন নতুন বিষয় পড়ানোর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এর ফলে পূর্ব বাংলার তরুণদের জন্য আধুনিক জ্ঞানবিজ্ঞান লাভের সুযোগ সৃষ্টি হয়। বিজ্ঞান ক্লাসগুলো খোলার পর ঢাকা কলেজে ছাত্র ভর্তির সংখ্যা দ্রুত বাড়তে থাকে। একই সঙ্গে এ কলেজের অবকাঠামোগত পরিবর্তনও হয়। এরপরও নানা ঘাত প্রতিঘাতের মধ্য দিয়েও ঢাকা কলেজ শিক্ষাক্ষেত্রে তার অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে সমর্থ হয়।

কলেজ ক্যাম্পাস : ঢাকা কলেজের ক্যাম্পাসে বেশ কয়েকবার পরিবর্তন ঘটে। প্রতিষ্ঠালগ্নে ঢাকা কলেজের ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বুড়িগঙ্গার তীরে স্থাপিত ইংলিশ সেমিনারি স্কুল তথা ঢাকা গভর্নমেন্ট স্কুলের সঙ্গে সংযুক্ত করে। কিন্তু অতি দ্রুতই কলেজটির জন্য একটি পৃথক ভবন প্রয়োজন হয়। ঢাকা শহর ও আশেপাশে বিস্তীর্ণ ফাঁকা জায়গা থাকা সত্ত্বেও কর্তৃপক্ষ খ্রিষ্টান যাজক রেভারেন্ড শেফার্ডের কাছ থেকে ঢাকা গভর্নমেন্ট স্কুল সংলগ্ন এমন একটি জায়গা কলেজের জন্য ক্রয় করলেন যা শহরের অভ্যন্তরে জনাকীর্ণ ও কোম্পনির পরিত্যক্ত একটি ব্যবসায়িক কুঠি এলাকা। প্রকৃতপক্ষে এলাকাটি ছিল শহরের একটি ঘিঞ্জি এলাকা এবং কলেজের জন্য অত্যন্ত অনুপযোগী। যাহোক, ক্রয়কৃত জমিতে কলেজ ভবন নির্মাণের জন্য ভবনটির নকশা তৈরি এবং নির্মাণের দায়িত্ব পায় মিলিটারি বোর্ড। ১৮৪১ খ্রিষ্টাব্দের ২০ নভেম্বর কলকাতার তৎকালীন বিশপ রাইট রেভারেন্ড ড্যানিয়েল ঢাকা কলেজের নতুন ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ওই বছর ২৫ মে ঢাকা গভর্নমেন্ট স্কুল ও কলেজের ছাত্ররা নবনির্মিত ভবনে ক্লাস শুরু করে।  

কলেজ ও ছাত্রদের সার্বিক উৎকর্ষ সাধনের জন্য কলেজ ভবনসহ কলেজ ক্যাম্পাসের সম্প্রসারণ জরুরি হয়ে পড়ে। অথচ বর্তমান স্থানে কলেজ চত্বর সম্প্রসারণ করা সম্ভব ছিল না। সমস্যা হলো ১৮৪৬ খ্রিষ্টাব্দে ঢাকা কলেজ ভবন নির্মাণের তিন দশকের মধ্যে কলেজ সংলগ্ন এলাকা জেলা কালেক্টরেট, জেলা জর্জ কোর্ট ইত্যাদি নির্মিত হয় এবং মুন্সেফ কোর্টসহ কিছু ভবনে নির্মাণের জায়গা চিহ্নিত করে রাখা হয়। ১৮৭০ এর দশকে ঢাকা কলেজ সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেয়া হলে স্থানীয় প্রশাসন ও শিক্ষা বিভাগের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। অবশেষে ১৮৭৮ খ্রিষ্টাব্দে সরকার ঢাকা কলেজের পূর্বপাশে পোগজ স্কুলের দখলে থাকা ভবন ও জমিটি ক্রয় করে ঢাকা কলেজ সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেয়। ১৯০৩ খ্রিষ্টাব্দে ঢাকা কলেজের অবকাঠামো বিষয়ে নতুন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয় এবং বর্তমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ১৯০৪ খ্রিষ্টাব্দে জমি অধিগ্রহণ করে ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়। ভারতবর্ষে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের প্রতিনিধি ভাইসরয় লর্ড ন্যাথনিয়েল কার্জন ঢাকায় এসে কার্জন হলের উদ্বোধন করেন। সভা, আলোচনা, বিতর্ক, সংবর্ধনাসহ নানা অনুষ্ঠানের জন্য এ টাউন হলটির ব্যবহারের দাবি থাকলেও কার্জন হল মূলত ঢাকা কলেজের নতুন ভবন হিসেবে নির্মাণ করা হয়েছিল। ১৯০৮ খ্রিষ্টাব্দে ঢাকা কলেজ স্থানান্তরিত হয় কার্জন হল ও হাইকোর্ট সংশ্লিষ্ট কয়েকটি ভবনে। এখানে স্বতন্ত্র বিজ্ঞান ভবন, ছাত্রদের জন্য হোস্টেল, শিক্ষকদের জন্য ৪টি বাসভবন নির্মাণসহ ঢাকা কলেজ রূপান্তরিত হয় একটি পূর্ণাঙ্গ আবাসিক কলেজে।  

১৯২১ খ্রিষ্টাব্দে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হলে ঢাকা কলেজের কার্জন হলসহ ঢাকা কলেজের অনেক স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রদান করা হয়। ১৯৪৩ খ্রিষ্টাব্দে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে আহত সৈনিকদের পুনর্বাসনের জন্য ছেড়ে দিতে হয় হাইকোর্টের কলেজ ভবনটি। তখন কলেজটি স্থানান্তর করা হয় লক্ষ্মীবাজারে অবস্থিত ইসলামিক ইন্টারমিডিয়েট কলেজে (যা বর্তমানে সরকারি কবি নজরুল কলেজ)। পরবর্তীকালে লক্ষ্মীবাজার থেকে সিদ্দিকবাজারে অবস্থিত মরহুম খান বাহাদুর আব্দুল হাইয়ের একটি ব্যক্তিগত ভবনে কলেজের দাপ্তরিক ও একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালিত হতে থাকে। অবশেষে ১৯৫৫ খ্রিষ্টাব্দে বর্তমান ক্যাম্পাসে (নিউমার্কেট এলাকা) নতুনভাবে শুরু  হয় ঢাকা কলেজের পথ চলা। তখন ঢাকা কলেজের জমির পরিমাণ ছিল ২৪ একর। এরশাদ সরকারের আমলে ৬ একর জমি ছেড়ে দিতে হয়, যেখানে গড়ে ওঠে চন্দিমা সুপার মার্কেট। বর্তমানে ঢাকা কলেজ ১৮.৫৭ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় ঢাকা কলেজের ভূমিকা : ১৯২১ খ্রিষ্টাব্দের ১ জুলাই একজন মাত্র নারীসহ মোট ৮৪৭ জন শিক্ষার্থী নিয়ে যাত্রা শুরু করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় ঢাকা কলেজের অবদান অপরিসীম। ঢাকা কলেজের ডিগ্রি ক্লাসে অধ্যয়নরত ছাত্রদের নিয়ে যাত্রা শুরু করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। শুধু ছাত্র নয়, শিক্ষক, লাইব্রেরির বই ও অন্যান্য উপকরণ দিয়েও ঢাকা কলেজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠায় সহযোগিতা করে।

১৯২১ খ্রিষ্টাব্দের ১ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হলে ঢাকা কলেজকে তদানীন্তন ইঞ্জিনিয়ারিং স্কুল ভবন থেকে সরিয়ে ছোট লাটের বাসভবন তথা গভর্নমেন্ট হাউজে স্থানান্তর করা হয় এবং ইঞ্জিনিয়ারিং স্কুলটিকে কলেজ হোস্টেলে রুপান্তর করা হয়। ইঞ্জিনিয়ারিং স্কুলটি স্থানান্তর করা হয় সেক্রেটারিয়েট বিল্ডিংয়ে। বলা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রতিষ্ঠিত করতে ঢাকা কলেজ যে ত্যাগ স্বীকার করে, তা অতুলনীয়।  

লেখক: ড. মো. আব্দুল কুদ্দুস সিকদার, সহযোগী অধ্যাপক, ইতিহাস বিভাগ, ঢাকা কলেজ। 


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
শিক্ষায় বরাদ্দ বেড়েছে, আরো বাড়বে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha শিক্ষায় বরাদ্দ বেড়েছে, আরো বাড়বে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সমাবর্তনের অজুহাতে সনদ আটকে রাখা যাবে না - dainik shiksha সমাবর্তনের অজুহাতে সনদ আটকে রাখা যাবে না হিটস্ট্রোকে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু - dainik shiksha হিটস্ট্রোকে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু চুয়েটে আন্দোলন স্থগিত, সড়কে যান চলাচল শুরু - dainik shiksha চুয়েটে আন্দোলন স্থগিত, সড়কে যান চলাচল শুরু প্রাথমিকের প্রশ্ন ফাঁসে অল্পদিনে কয়েকশ কোটি টাকা আয় - dainik shiksha প্রাথমিকের প্রশ্ন ফাঁসে অল্পদিনে কয়েকশ কোটি টাকা আয় রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়: হাইকোর্ট - dainik shiksha রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়: হাইকোর্ট কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0054600238800049