দৈনিক শিক্ষাডটকম, জবি : ঢাকা কলেজিয়েট স্কুলের ভবন ভাঙার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে আরবান স্টাডি গ্রুপ। বৃহস্পতিবার কলেজিয়েট স্কুল প্রাঙ্গণে এ মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে আরবান স্টাডি গ্রুপের প্রধান নির্বাহী তাইমুর ইসলাম বলেন, কলেজিয়েট স্কুলটির উপকরণ দেখে বোঝা যায় এটি মুঘল আমলে তৈরি। ঢাকার প্রথম সরকারি স্কুল এটি। ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দে একটি রেজাল্ট নোটিস-এর মাধ্যমে হাইকোর্ট এটাকে ভাঙার অনুমতি দেয়নি।
এর সঙ্গে আরো প্রায় ২২০০ বিল্ডিংকে ঐতিহ্যের আওতায় আনার প্রচেষ্টা চলছে। কিন্তু হাইকোর্টের অনুমতিকে উপেক্ষা করে এ শতবর্ষী বিল্ডিংটাকে ভেঙে ফেলা হচ্ছে। ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দে লিগাল নোটিস দেয়ার পর আর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি বলে-এর মাঝে অনেক ঐতিহ্যবাহী বিল্ডিং ভেঙে ফেলা হয়েছে।
আরবান স্টাডি গ্রুপের কার্যনির্বাহী পরিচালক সামিরা ইসলাম বলেন, কলেজে স্কুলে এখন ছোট ছোট বাচ্চারা পড়ছে। তাদের চোখের সামনে এই ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানটি ভেঙে ফেলার ফলে তাদের কাছে কী মেসেজ যাচ্ছে? তারা দেখছে যে তাদের পূর্বপুরুষের কোনো ইতিহাস ঐতিহ্য নেই। ফলে তারা এভাবেই কৃত্রিমভাবে বড় হয়ে উঠছে।
প্রতিষ্ঠানের প্রাক্তন ছাত্র মেজবাউল হক বলেন, আমি ১৯৬৯ খ্রিষ্টাব্দে এখান থেকে পাস করেছি। বহু গুণী লোকের পদচারণা এ স্কুলে রয়েছে। পুরান ঢাকা তথা সারা বাংলাদেশের ঐতিহ্য রক্ষার স্বার্থে এ বিদ্যালয়টি রক্ষা করা উচিত।
প্রত্যাশা মাদকবিরোধী সংঘের সাধারণ সম্পাদক হেলাল আহমেদ বলেন, ইদানিং আমরা দেখতে পাচ্ছি পুরান ঢাকায় বিভিন্ন কলাকৌশলে প্রাচীন ঐতিহ্যগুলো ধ্বংস করা হচ্ছে। ইতিহাস ঐতিহ্য মুছে ফেলা হচ্ছে। এটা অতিসত্বর বন্ধ করা উচিত। শতবর্ষী কলেজিয়েট স্কুলসহ ঢাকার বিভিন্ন ইতিহাস ঐতিহ্যকে রক্ষা করতে সকলের ভূমিকা রাখতে হবে। তবে ভবনকে ক্লাস রুম হিসেবে নয়, গ্রন্থাগার কিংবা জাদুঘর করা যায়।
প্রসঙ্গত, গত কয়েকদিন ধরে কলেজিয়েট স্কুল প্রাঙ্গণে অবস্থিত এ ঐতিহ্যবাহী দ্বিতল ভবনটি ভাঙার কাজ চলছে। ইতিমধ্যে ভবনটির দরজা জানালা ভেঙে অপসারণ করা হয়েছে। দু-এক জায়গায় একতলার ছাদও ভেঙে ফেলা হয়েছে। স্কুলের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে ভবনটি ভেঙে একটি বহুতল ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে।