রাজধানী ঢাকাতে ১৩তম কাকে আন্তর্জাতিক জাপানি ভাষা বক্তৃতার আঞ্চলিক পর্যায়ের প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর কলাবাগানের মেইজি এডুকেশনের প্রধান কার্যালয়ে জাপান-বাংলাদেশ দূতাবাস ও জাপানের কাকে এডুকেশনাল ইন্সটিটিউটে যৌথ পৃষ্ঠপোষকতায় ওই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন ঢাকাস্থ জাপানি দূতাবাসের জনসংযোগ ও সাংস্কৃতিক বিভাগের উপপ্রধান এবং দ্বিতীয় সচিব মি. ইয়ামামোতো কিয়োহেই।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইয়ামামোতো বলেন, জাপানি ভাষা বা যেকোনো ভাষা হলো একটি যন্ত্র। এটা নিয়ে শুধু কাজ করবে শুধু তা নয়, ভাষার পাশাপাশি নিজেকে দক্ষ করে তুলতে হবে। সেটি প্রকৌশলগত দক্ষতা হতে পারে। ভবিষ্যতে এমন কিছু নিয়ে কাজ করবেন সেটি মাথায় নিয়ে নিজেকে ভবিষ্যতে কাজ করবেন এমন বিষয়ে নিজেকে দক্ষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। কারণ শুধু ভাষা নিয়ে কাজ করা কঠিন। ভবিষ্যতে আপনি কি করতে চান, সেটি যেন স্পষ্ট থাকে। পাঁচ বছর পর আপনি কোথায় থাকবেন, কোথায় থাকতে চান সেটি জাপানে থাকবেন না-কি বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়বেন- এর একটা প্ল্যান করে রাখবেন। যা আপনার জীবন চলার পথকে আরো বেশি সহজ করবে।
তিনি আরো বলেন, আমরা অ্যাম্বাসি থেকে প্রতিবছর জাপানি বক্তৃতা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এমন প্রতিযোগিতার মাধ্যমে আমরা বেশ কয়েকজন ভালো শিক্ষার্থীদের মেক্সট স্কলারশিপের মধ্য দিয়ে জাপানে পাঠিয়েছে। আমি আশা করি, আমরা এই প্রতিযোগিতার মধ্যে ভালো শিক্ষার্থী পেলে, অবশ্যই আপনাদের সঙ্গে যোগাযোগ করবো।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কাকে এডুকেশনাল ইন্সটিটিউটের ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স বিভাগের মহাপরিচালক মি. ফুমিৎসুগু ওৎসুকি বলেন, ২০১১ খ্রিষ্টাব্দে জাপানি ভাষা শিক্ষার প্রসারে এমন প্রতিযোগিতা চালু করা হয়। সেই বাংলাদেশে ২০২০ খ্রিষ্টাব্দে বাংলাদেশে আঞ্চলিক প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছিলো। এই বছর প্রধানত এশিয়ার ১০টি দেশে আঞ্চলিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। এবং আগামী নভেম্বরে অনলাইনে প্রতিযোগিতার ফাইনাল আসর অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এ বছরের বক্তৃতার বিষয় বস্তু ছিলো ‘Cutting Edge Technology - How it should be used’।
এর আগে শুভেচ্ছা বক্তব্যে মেইজি এডুকেশনের চেয়ারম্যান জসীম উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, তরুণরা আমাদের ভবিষ্যৎ, তাদেরকে সঠিক শিক্ষা ও মূল্যবোধ দিয়ে গড়ে তুললে তারা ভবিষ্যতের জন্য একটি শান্তিপূর্ণ বিশ্ব রেখে যাবে। তাই তাদেরকে নাগরিক কর্তব্যের মতো কাজের সাঙ্গে তাদের যুক্ত করতে হবে। এমন আঞ্চলিক ভাষা প্রতিযগিতার মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশের যুব সমাজকে জাপানের শ্রম বাজার এর জন্য দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তরের বেশ অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি মনে করেন।
অনুষ্ঠানে বিচারক হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন কাকে এডুকেশনাল ইন্সটিটিউটের ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স বিভাগের জাপানিজ শিক্ষা কেন্দ্রের পরিচালক মি. নাওকো কুয়াহারা, জাপানের আইশিন ইন্টারন্যাশনাল ল্যাঙ্গুয়েজ স্কুলের জাপানি ভাষার শিক্ষক শিমোহারা মেইকো। এছাড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মেইজি এডুকেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
পরে বিজয়ী প্রতিযোগীদের সনদ ও প্রাইজ মানি এবং সব অংশগ্রহণকারী প্রতিযোগীদের সনদ দেয়ার মাধ্যমে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।