ঢাকা মহানগর দায়রা আদালতে সদ্য নিয়োগ পাওয়া পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এহসানুল হক সমাজীকে অপসারণে আল্টিমেটাম দিয়েছে বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা। বুধবার সকাল ৯টার মধ্যে তাকে পদত্যাগের সময় বেধে দেওয়া হয়েছে।
বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা বলছেন, তা না হলে সমাজীকে এ দায়িত্ব পালন করতে দেওয়া হবে না।
মঙ্গলবারই ঢাকা মহানগর দায়রা আদালতের পিপি হিসেবে নিয়োগ পান এহসানুল হক সমাজী। তার আগে এই দায়িত্বে ছিলেন অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আবু। গত ৫ আগস্ট ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর থেকে তিনি আর আদালতে আসেন নি।
নতুন পিপির নিয়োগের খবর প্রকাশ হওয়ার পর বুধবার দুপুরে ঢাকা আইনজীবী সমিতির সামনে বিক্ষোভ করেন বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা। এ সময় অবিলম্বে এহসানুল হক সমাজীর নিয়োগ বাতিল করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে দাবি জানান তারা।
বিক্ষোভে ঢাকা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে বিএনপির প্যানেল থেকে নির্বাচিত সাবেক সভাপতি বোরহান উদ্দিন ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক ফারুকীকে নেতৃত্বে দিতে দেখা যায়। এ সময় তারা পিপি কার্যালয়ে তালা মেরে দেন।
বিক্ষুব্ধ আইনজীবীদের দাবি, আওয়ামী লীগকে সুবিধা দিতেই সমাজীকে পিপি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, ‘সমাজী আওয়ামী লীগের দালাল, তার পরিবারের সবাই আওয়ামী লীগের। বারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে তিনি সহযোগিতা করেছেন। তার নিয়োগে আইনজীবীরা ক্ষুব্ধ। তার নিয়োগ বাতিল না হলে আমরা পরবর্তী কর্মসূচি দেব।’
অবশ্য এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চান নি নবনিযুক্ত পিপি এহসানুল হক সমাজী। তিনি বলেন, ‘এটা সম্পূর্ণ সরকারের বিষয়। এখনো আমি কোনো চিঠি পাইনি। তাই এ বিষয়ে আপাতত কোনো মন্তব্য করতে চাই না।’
এহসানুল হক সমাজী এর আগে সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় দুই বছর ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটরের দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০৮ এর নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে এই পদ থেকে তাকে সরিয়ে নিয়োগ দেওয়া হয় আব্দুল্লাহ আবুকে। আওয়ামী লীগ সরকারের পুরো সময় তিনিই পিপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।