ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক কর্মকর্তার স্ত্রীর মৃত্যুতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ ও দুইজন উপ-উপাচার্য অংশ না নেয়াতে উপাচার্যের বাসার সামনে মোনাজাত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বাহালুল হক চৌধুরী। অনেকে বলছেন এটি তার প্রতিবাদী মোনাজাত।
বৃহস্পতিবার অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ডেকে নিয়ে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে গিয়ে মোনাজাত করেন বাহালুল হক চৌধুরী। এ সময় উপস্থিত থাকা পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে চাকরিতে অংশ না নেয়ায় ঘোষণা দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. বাহালুল হক চৌধুরী। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, বাহালুল স্যার হঠাৎ আমাদের সবাইকে জরুরিভাবে ডেকে উপাচার্য স্যারের বাসভবনে নিয়ে যান। ‘আল্লাহু আকবার’ স্লোগান দিয়ে ভিসির বাসভবনে ঢোকেন তারা। এরপর সেখানে কোনোকিছু না বলে আকাশের দিকে হাত তুলে মোনাজাত ধরেন। আমরা কিছুই বুঝে উঠতে পারিনি। আমরাও তার সঙ্গে মোনাজাত ধরি।
জানা গেছে, সাম্প্রতিক সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলামের স্ত্রী মারা যান। তাঁর জানাজায় উপাচার্য ও দুই সহ-উপাচার্য অংশ নেননি।
এসময় বাহালুল হক চৌধুরী ঢাবি উপাচার্যকে উদ্দেশ করে বলেন, মনির ভাইয়ের স্ত্রী মারা গেছেন। সেখানে ভিসি, প্রো-ভিসি কেউ নেই। আমরা কার কাছে বিচার দেবো। আপনি (আল্লাহ) ছাড়া তো কেউ নাই। আল্লাহ তুমি দেখো। আপনাদের জানাজায় আসায় দরকার নাই। আমি আপনার (উপাচার্য) চাকরি করবো না।
তিনি আরও বলেন, আল্লাহ এ এলাকা ভালো না। এলাকার মানুষ মোনাজাত ধরতে চায় না। এ এতিম বাচ্চা নিয়ে আমি দাঁড়িয়েছি। তুমি দেখো।
এদিকে মোবাইলে বাহালুল হকের একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তার সাড়া পাওয়া যায়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি। আমার মনে হয় উনার বিশ্রাম দরকার। উনি মানসিক চাপে রয়েছেন। কী করবে বুঝে উঠতে পারছেন না। আমি তার পরিবারের সঙ্গেও বিষয়টি নিয়ে আলাপ করেছি, তারাও বিষয়টি আমাকে জানিয়েছেন। কী করা যায় সেটা নিয়ে ভাবছি।