ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেছেন, ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জেনোসাইডের এপিসেন্টারে রূপান্তরিত হয়েছিলো। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে বুধবার শিক্ষক-ছাত্র মিলন কেন্দ্রে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, এ গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি খুবই জরুরি। রাজারবাগ পুলিশ লাইন, পিলখানা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এই তিনটি স্থানই ছিল গণহত্যার প্রধান বা প্রথম ঘাটি। গণহত্যার সংজ্ঞানুযায়ী, কোনো বিশেষ শ্রেণিকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য যদি পরিকল্পিতভাবে তাদেরকে হত্যা করা হয় তাকে গণহত্যা বলে। ১০ ডিসেম্বরে পরিকল্পিত নীল নকশার ১৪ ডিসেম্বরের বাস্তবায়ন এ সংজ্ঞার সমর্থন করে। আমাদের দেশে সেই বিশেষ শ্রেণি ছিল বুদ্ধিজীবী। যারা তার নিজ নিজ পেশার মধ্যে থেকেই সমাজকে দাঁড় করাতে চেয়েছিলেন। যিনি যে পেশায়ই ছিলেন তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শকে সামনে রেখে একটি প্রগতিশীল ধারায় জনগণের কল্যাণে কাজ করেছিলেন।
সভার সঞ্চালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক নিজামুল হক ভূঁইয়া এবং অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব মোল্লা মো. আবু কাওছার।
আলোচনা সভার শুরুতে পবিত্র ধর্মীয় গ্রন্থগুলো থেকে পাঠ করা হয়। এরপর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।