ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) থেকে চাকরিচ্যুতির বর্ণনা দিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-প্রশিক্ষণ সম্পাদক ও ইউট্যাবের কেন্দ্রীয় মহাসচিব অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান।
আজ শনিবার বিএনপির তারুণ্যের সমাবেশে আবেগতাড়িত কণ্ঠে তা তুলে ধরেন তিনি।
অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান বলেছেন, ‘আমার ওপর কী মানসিক নির্যাতন করা হয়েছে তা অনেকেই জানেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে কলাম লেখার কারণে কাউকে চাকরিচ্যুত করা হয়নি, শুধু আমাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আমাকে অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুত করেছে।’
আজ বিকালে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপির তিন সংগঠন যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের যৌথ উদ্যোগে ঢাকা বিভাগীয় তারুণ্যের সমাবেশ হয়।
এই সমাবেশে অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান আরো বলেন, ‘আমার স্ত্রী ব্রেন ক্যান্সারে আক্রান্ত। স্ত্রী অসুস্থ হওয়া সত্ত্বেও আমাকে একদিনের নোটিশে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসা থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। অথচ আমার মামলা চলমান। মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আমাকে বাসা থেকে বের করে দিতে পারে না।’
তিনি আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, ‘আমার একমাত্র মেয়ে স্কুলে গিয়ে তার বাবার পরিচয় দিতে পারে না। তাকে তার সহপাঠীরা প্রশ্ন করলে সে বলতে পারে না। বাসায় এসে আমাকে জিজ্ঞেস করে বাবা তুমি কী করো? কিন্তু আমি মেয়েটাকে হাসিমুখে কোনো কিছু বলতে পারি না। তবুও আমি আল্লাহর রহমতে বেঁচে আছি। সবকিছুর পরও আমি সবার সঙ্গে রাজপথে আছি। শেষ পর্যন্ত থাকব, ইনশাআল্লাহ।’
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। যুবদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর সভাপতিত্বে এতে আরো বক্তব্য দেন বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী, ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ, ময়মনসিংহ বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, ফরিদপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলসহ বিগত আন্দোলনে বিএনপির যেসব নেতাকর্মী নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তাদের পরিবারের সদস্যরা। সমাবেশ যৌথভাবে পরিচালনা করেন যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল।