ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলে ক্যান্টিনের খাবারের মধ্যে মিলেছে টাকা। শুক্রবার দুপুরে হলের এক শিক্ষার্থী ক্যান্টিনে খাবার খেতে গিয়ে খাসির মাংসের তরকারিতে ১০ টাকার একটি নোট পান। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে ক্যান্টিন পরিচালক ‘সরি’ বলেছেন।
ওই শিক্ষার্থীর নাম কাজী শামীম। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি বলেন, দুপুরে খেতে গিয়ে খাসির মাংস অর্ডার করি। এটার দাম ৫৫ টাকা। খাবার পাওয়ার পর হাত দিয়েই দেখি ভেতরে একটি টাকার নোট। পরে পরিচালককে জিজ্ঞেস করলে তিনি ‘সরি’ বলে খাবার রিপ্লেস করে দেন। এটা যেভাবে ছিল, মনে হয়েছে টাকাসহ রান্না করা হয়েছে।
এ বিষয়ে হল প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দেবেন বলে জানিয়েছেন কাজী শামীম।
শামীমের বন্ধু ও প্রত্যক্ষদর্শী ইসলামিক স্টাডিজের একই বর্ষের ছাত্র মুহাম্মদ মুঈনুদ্দিন গাউছ বলেন, আমিও খাসির মাংস অর্ডার করি। আমি পার্সেল নিয়েছিলাম। মূলত খাসির মাথা, কলিজা ও মগজ এগুলো দিয়ে এটা রান্না হয়। পরে এটা দেখার পর খাওয়ার রুচি পাইনি। তাই খাইনি আর। আসলে এটা ক্যান্টিনে খাবারের অব্যবস্থাপনার ফল।
জানতে চাইলে ক্যান্টিনের পরিচালক রিপন মোহাম্মদ বলেন, নামাজের পর অনেক চাপ থাকে। সবাই একসঙ্গে খেতে আসে। ভিড়ের মধ্যে ভুলে তরকারির মধ্যে নোটটি পড়ে গেছে।
এ ব্যাপারে জানতে হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মাসুদুর রহমানকে ফোন করা হলে তিনি ফোনে উত্তর দেননি।