ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) এলাকায় অবস্থিত ‘ডাস ক্যাফেটেরিয়া’ থেকে চাঁদা দাবির অভিযোগ নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করায় দেশের ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি অবজারভারের সম্পাদক, প্রধান প্রতিবেদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদককে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ।
সাত দিনের মধ্যে প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্য-প্রমাণ উপস্থিত করতে না পারলে যেন ওই প্রতিবেদককে সংবাদমাধ্যমটি থেকে বরখাস্ত করতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে নোটিশের উত্তর না দিলে পরবর্তীতে নোটিশ ছাড়াই আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আইনি নোটিশে উল্লেখ করা হয়।
জানা গেছে, গত সোমবার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এম নোমান হোসেন তালুকদারের মাধ্যমে এই নোটিশ পাঠান ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন এবং সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত।
এর আগে গত রোববার (৬ আগস্ট) ‘মালিক ছাত্রলীগের চাহিদা পূরণ করতে না পারায় ঢাবিতে স্ন্যাকসের দোকান বন্ধ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্প্রতি ক্যাম্পাসের টিএসসির ডাস ক্যাফেটেরিয়া থেকে ৩০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। এজন্য তারা ডাস ক্যাফেটেরিয়ার ব্যবস্থাপকদের বিরুদ্ধে পঁচা ও নিম্নমানের খাবার পরিবেশনের অভিযোগ তোলেন। এই অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
ওই প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, কয়েকদিন আগে প্রক্টরিয়াল টিমের মাধ্যমে ডাস ক্যাফেটেরিয়া বন্ধ করে দেয়া হয়। একপর্যায়ে দোকানটি খুলতে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি শয়ন ও সাধারণ সম্পাদক সৈকতের পক্ষ থেকে ছাত্রলীগের এক নেতা ডাস ক্যাফেটেরিয়ার মালিকের কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন।
তবে এমন প্রতিবেদন কল্পনা প্রসূত ও বানানো গল্প বলে আইনি নোটিশে দাবি করেন ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত।
তিনি বলেন, রিপোর্ট দেখে মনে হয়েছে সম্পূর্ণ কল্পনাপ্রসূত ও বানানো গল্প, তাই প্রাথমিক বিষয় হিসেবে আইনি নোটিশ দেয়া হয়েছে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে প্রমাণ হাজির করতে না পারলে এবং নোটিশের জবাব না দিলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
জানতে চাইলে ডেইলি অবজারভারের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক তাওসিফুল ইসলাম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, সংবাদটি মাল্টিপল সোর্সের সঙ্গে কথা বলেই তৈরি করেছি, যার প্রমাণ আমার কাছে সংরক্ষিত আছে। তথ্য সংগ্রহ থেকে শুরু করে সংবাদ প্রকাশ পর্যন্ত প্রতিটি ধাপে সাংবাদিকতার নীতি নৈতিকতা অনুসরণ করেছি।