ঢাবিতে চিকিৎসা কর্মকর্তাকে মারধরের অভিযোগ কর্মচারীদের বিরুদ্ধে

ঢাবি প্রতিনিধি |

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক চিকিৎসা কর্মকর্তাকে চতুর্থ শ্রেণির একদল কর্মচারী মারধর করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। মরধরের শিকার বেলাল সরকার শহীদ বুদ্ধিজীবী ডা. মোহাম্মদ মোর্তজা মেডিকেল সেন্টারে প্যাথলজি বিভাগের জ্যেষ্ঠ টেকনিক্যাল অফিসার হিসেবে কর্মরত। গত মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। বেলাল সরকার ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

বেলাল সরকার জানান, ওইদিন আব্দুস সোবহান অসুস্থতাজনিত ছুটির জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করতে চিকিৎসা কেন্দ্রে যান। কাজে দেরির অভিযোগ তুলে তার সঙ্গে চিকিৎসা কেন্দ্রের কর্মচারী রফিকের কথা কাটাকাটি হয়। পরে প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তার কাছে বিচার দেয়া হয়। প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা দুই পক্ষকে ডেকে ঘটনাটি মিটমাট করে দেন। কিন্তু এর কিছুক্ষণ পরেই একটি সংঘবদ্ধ দল তাকে মারধর করে।

তিনি আরও বলেন, ইউসুফ হারুন নামে একজন তাকে প্রথমে কলার চেপে ধরে ও তাকে ঘুষি দিয়ে নাক ফাটিয়ে দেয়। 

আব্দুস সোবহান মানিক বলেন, আমি গুরুতর অসুস্থ। তাই ছুটির কাগজপত্রের জন্য মেডিকেলে যাই। সেখানে কয়েকজনের সঙ্গে দেখা হয়। আমরা গল্প করছিলাম। এরপর একটু কথা কাটাকাটি হলে বেলাল আমাকে ধাক্কা দেয়। আমরা তাকে আর কিছু করিনি। সে নিজেই নিজের শার্ট ছিঁড়ে আমাকে দোষী বানাচ্ছে।

এদিকে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মোবারক হোসেন বলেন, সহকর্মী সোবহানকে মারধরের খবর পেয়ে অনেকে চিকিৎসাকেন্দ্রে যান। আমরা পরে শান্ত করে নিয়ে আসি সবাইকে। 

ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক হান্নান মিজি দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, আমরা প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তার রুমে যাই ঘটনায় ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানাতে। বেলাল সরকার মাফও চেয়েছে। এরমধ্যে বাইরে অন্যরা কী করেছে জানি না।

প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. হাফেজা জামান জানান, তাদের অভিযোগ পেলে আমি নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানাই। তারা হাসিমুখে রুম থেকে চলে যায়। কিছুক্ষণ পর দলবল নিয়ে আমার রুমে এসে তাৎক্ষণিক বিচার দাবি করে। তাদের চিৎকার-চেচামেচিতে আমি হতভম্ব হয়ে যাই। প্যাথলজি রুমে গিয়ে মেয়েদের বের করে বেলাল সরকারকে হেনস্তা করে। পরে প্রশাসনিক লোক এসে থামায়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ড. আব্দুল মুহিত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন।  

বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ড. মো. আব্দুল মুহিত বলেন, খবর পেয়ে আমি সেখানে গিয়েছি এবং প্রক্টর স্যারের নির্দেশ মোতাবেক তাদের দুইপক্ষকে লিখিত দিতে বলেছি।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
পেছালো জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স ১ম বর্ষের পরীক্ষা - dainik shiksha পেছালো জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স ১ম বর্ষের পরীক্ষা প্রশ্নফাঁসের মামলায় ১০ জনের কারাদণ্ড, খালাস ১১৪ - dainik shiksha প্রশ্নফাঁসের মামলায় ১০ জনের কারাদণ্ড, খালাস ১১৪ শিক্ষা ভবনের সেই বিপুলকে বদলি, গ্রেফতার চান এমপিও শিক্ষকরা - dainik shiksha শিক্ষা ভবনের সেই বিপুলকে বদলি, গ্রেফতার চান এমপিও শিক্ষকরা পলাতক ফাহিমার ক্যাশিয়ার কামালকে গ্রেফতারের দাবি - dainik shiksha পলাতক ফাহিমার ক্যাশিয়ার কামালকে গ্রেফতারের দাবি দীপু মনির ক্যাশিয়ার পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সচিব নাজমাকে বদলি - dainik shiksha দীপু মনির ক্যাশিয়ার পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সচিব নাজমাকে বদলি ঢাকা কলেজের নতুন অধ্যক্ষ অধ্যাপক ইলিয়াস - dainik shiksha ঢাকা কলেজের নতুন অধ্যক্ষ অধ্যাপক ইলিয়াস রাষ্ট্র পুনর্গঠনে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা - dainik shiksha রাষ্ট্র পুনর্গঠনে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা শিক্ষা কমিশন কেনো হলো না - dainik shiksha শিক্ষা কমিশন কেনো হলো না ১৫ এলাকায় ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় হতে পারে - dainik shiksha ১৫ এলাকায় ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় হতে পারে কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বন্যায় ক্ষতির পরিমাণ ও সবুজায়নের তথ্য আহ্বান - dainik shiksha শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বন্যায় ক্ষতির পরিমাণ ও সবুজায়নের তথ্য আহ্বান please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0027890205383301