ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষা পুনর্বহালের দাবিতে প্রতিবাদ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন এইচএসসি ও আলিম ২০২৩ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা।
শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা দীর্ঘ দুই মাস ধরে এ দাবি জানিয়ে আসছি। ১০ বছর আগে ২০১৪-১৫ সেশনে ঢাবিতে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষা বন্ধ করার পর থেকেই এ দাবি প্রতিবছর উত্থাপিত হয়েছে। মেডিক্যাল, বিসিএসের মতো পরীক্ষায়ও একাধিকবার অংশগ্রহণের সুযোগ রয়েছে। এমনকি বাংলাদেশের চারটি স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের বাকি তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয়বার পরীক্ষার ব্যবস্থা চালু থাকলেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই, যা একটি চাক্ষুষ বৈষম্য।
অতীতে নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে জানিয়ে তারা বলেন, গত ফ্যাসিস্ট সরকারের সময় যুক্তি দিয়ে এই দাবি যতবারই উত্থাপন করা হয়েছে, আমাদের নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি বর্তমান প্রশাসন শিক্ষার্থীবান্ধব। আমরা ঢাবি উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি জমা দিয়েছি। আমাদের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জানানো হবে বললেও তা এখনো জানায়নি। প্রয়োজনে আমরা কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করতে বাধ্য হবো।
কর্মসূচিতে শিক্ষার্থী ইয়াসিন আরাফাত বলেন, বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ফুল ফ্রি স্কলারশিপ দিয়ে আমাদের দেশের মেধা নিয়ে গিয়ে তাদের দেশের উন্নয়নে কাজে লাগাচ্ছে। আর আমাদের দেশে উচ্চশিক্ষায় যত প্রতিবন্ধকতা। এ বছর যদি ঢাবিতে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষা চালু করা না হয়, এই আন্দোলন প্রতি বছর চলতে থাকবে। আশাকরি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ বিষয়ে গুরুত্ব দেবে।
শিক্ষার্থী আশিকুর রহমান বলে, একজন শিক্ষার্থী প্রথম প্রচেষ্টায় ব্যর্থ হতেই পারে। আমি গ্রামের ছেলে, অনেক ভালো প্রস্ততি থাকলেও ভর্তি পরীক্ষার এক সপ্তাহ আগে মারাত্মকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ি। বেশি পাওয়ারের ওষুধ খেয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে বাণিজ্য বিভাগে আমার পজিশন হয় ২২০১। আমার মতো অনেক শিক্ষার্থীই এমন নানা ঘটনার শিকার। দ্বিতীয় সুযোগ তাদের সবার প্রাপ্য বলে আমি মনে করি।
এর আগে গত ৯ সেপ্টেম্বর ঢাবি উপাচার্য ড. নিয়াজ আহমেদ খানের কাছে স্মারকলিপি জমা দেন শিক্ষার্থীরা। পরে ১৮ সেপ্টেম্বর শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধি দল উপাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।