চতুর্থবারের মতো দিনভর নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে গ্রামীণ আমেজে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) বসন্ত উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) প্রাঙ্গণে বসন্ত উৎসব উপলক্ষে মেলা শুরু হয়। পরে বেলা তিনটা থেকে মেলার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়ে চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত।
বসন্ত উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সোনার বাংলা গড়তে চেয়েছিলেন তাঁর পেছনে ছিল তিনটি মুক্তি। যার একটি হলো তিনি মানুষকে রাজনৈতিক মুক্তি ও স্বাধীনতার মুক্তি দিয়েছেন। আরেকটি অর্থনৈতিক মুক্তি, যেই মুক্তির লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা কাজ করে যাচ্ছেন। মাত্র ১৪ বছরের একটি দরিদ্র স্বল্পোন্নত দেশকে মর্যাদাসম্পন্ন ডিজিটাল বাংলাদেশে পরিণত করেছেন। স্বাধীনতা ও অর্থনৈতিক মুক্তি কেটে এখন টেকসই ও অনিরাপদ বাংলাদেশ গড়তে গেলে বঙ্গবন্ধুর যে তৃতীয় বিপ্লবকে আমাদের সফল করতে হবে, সেই বিপ্লবটি হচ্ছে সাংস্কৃতিক বিপ্লব।
তিনি আরও বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের মতো আন্দোলনগুলো সফলের পেছনে ভূমিকা এখানকার শিক্ষার্থীদের ভূমিকা রয়েছে। আমরা চাই সাংস্কৃতিক বিপ্লবের সূচনা এ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই শুরু হোক। আজকের এই বসন্ত উৎসবে আমাদের প্রত্যাশা ও প্রত্যয় হবে বঙ্গবন্ধুর তৃতীয় বিপ্লব সেই সাংস্কৃতিক বিপ্লবের নেতৃত্ব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংস্কৃতিক সংসদের নেতৃত্বে আমরা সফল করব।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক সংসদের মডারেটর এবং গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক সাবরিনা সুলতানা চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক হিসেবে ছিলেন প্রখ্যাত নাট্য ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ম হামিদ। এছাড়াও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে গুণীজন সম্মাননা দেয়া করা হয় ওয়াহিদা মল্লিক জলি, রহমত আলী, রূপা চক্রবর্তী, ফারুক আহমেদ ও ফেরদৌস আহমেদকে।
আলোচনা সভা শেষে আছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক সংসদের সদস্যদের শিল্পীদের মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ছিল কনসার্টে সঙ্গীত পরিবেশনা করে জনপ্রিয় ব্যন্ড ‘আর্ক’ ও ‘গানপোকা’।
দিনব্যাপী এই আয়োজনের বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে ছিল গ্রামীণ লোকজ মেলা, ফানুশ উৎসব এবং তারকা শিল্পীদের পরিবেশনায় মনোরম সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা। গ্রামীণ মেলাতে পোশাক, অলঙ্কার ও খাবারের স্টলের পাশাপাশি ছিলো। নাগরদোলা, বানর নাচ, সাপের খেলা, পুতুল নাচ, বায়োস্কোপ, মোরগ লড়াই, পুঁথিপাঠ, কীর্তন, টিয়া পাখির সাহায্যে ভাগ্যগণনাসহ ঐতিহ্যবাহী গ্রামীণ লৌকিক সংস্কৃতির বাহারি সব আয়োজন।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।