ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) দুই দিনব্যাপী ‘বাংলাদেশ ও ইরানের শিশু-কিশোর সাহিত্য’ নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু হয়েছে। এতে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষক, গবেষক ও শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছেন।
শনিবার বিশ্ববিদ্যালয় ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের উদ্যোগে অধ্যাপক মুজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে ওই সম্মেলনে শুরু হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত মানসুর চাভোশি।
রাষ্ট্রদূত মানসুর চাভোশি বলেন, শিশুদের সুচরিত্র গঠনে, চিন্তাশীল করে গড়ে তুলতে, অপরকে শ্রদ্ধা করতে এবং সংস্কৃতিমনা করে গড়ে তুলতে শিশু সাহিত্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এ ধরনের আয়োজনের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও ইরানের মধ্যে বিরাজমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো জোরদার হবে এবং দুই দেশের সাহিত্য অঙ্গন আরো বিকশিত হবে। দুই দিনব্যাপী এই সম্মেলনে বিভিন্ন দেশ-বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষক, গবেষক ও শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছেন। আয়োজনের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও ইরানের মধ্যে বিরাজমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো জোরদার হবে এবং দুই দেশের সাহিত্য অঙ্গন আরো বিকশিত হবে। বাংলাদেশে ফারসি ভাষা ও সাহিত্য প্রসারে অনন্য ভূমিকা রাখার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের শিক্ষক, গবেষক ও শিক্ষার্থীদের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ জানান রাষ্ট্রদূত।
সম্মেলনের উদ্বোধনের সময় ঢাবি উপ-উপাচার্য(প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ এই সম্মেলনের সফলতা কামনা করে বলেন, শিশু ও কিশোরদের মানসিক বিকাশ এবং সুন্দর জীবন-যাপনে শিশু সাহিত্যের গুরুত্ব অপরিসীম। শিশু-কিশোরদের মাতৃভাষা শিখতে, নিজের দেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও জাতির ভাষা এবং সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে শিশু-কিশোর সাহিত্য চর্চা আরো বৃদ্ধি হওয়া উচিত বলে তিনি উল্লেখ করেন। শিশু-কিশোরদের সংস্কৃতিমনা, সুশিক্ষিত ও দক্ষ করে গড়ে তুলতে তিনি পারিবারিক শিক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
সম্মেলনের আহ্বায়ক ও বিভাগের অধ্যাপক ড. কে এম সাইফুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে ও অধ্যাপক ড. আবদুস সবুর খানের সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ইরানি দূতাবাসের কালচারাল কাউন্সেলর সৈয়দ রেজা মিরমোহাম্মাদি, ঢাকাস্থ আল-মোস্তফা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রধান হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়ালমুসলেমিন শাহাবুদ্দিন মাশায়েখী রাদ, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বাহাউদ্দিন, ভিজিটিং প্রফেসর ড. মাজিদ পুইয়ানসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইরানের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. বাহাদুর বাঘেরি। শেষে সম্মেলনে চারটি গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।