ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কবি জসীমউদ্দীন হলে গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী স্বাধীনতা উপলক্ষে ভোজের জন্য আয়োজন করা গরুর নাম দেওয়া হয়েছে ‘সৈকত’। গতকাল সরেজমিনে দেখা যায় কবি জসীমউদ্দীন হলের ফটকে রাখা গরুর গায়ে সাঁটিয়ে দেওয়া হয়েছে ‘রিয়েল লাইফ গরু সৈকত’ কথাটি।
কবি জসীমউদ্দীন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতকে ব্যঙ্গ করেই এমনটা করেছেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
কবি জসীমউদ্দীন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র নাঈমুর রহমান রিদম বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত আমাদের হলে অবস্থান করতো। সে রিয়েল লাইফ হিরো উপাধি প্রাপ্ত ছিল। কিন্তু সে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পর আমাদের ওপর ব্যাপক জুলুম নির্যাতন চালিয়েছে আমাদের জীবনকে বিষময় করে তুলেছিলো। স্বাধীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এখন আমরা তাই তার বিরুদ্ধে এভাবে প্রতিবাদ জানাচ্ছি, নিজেদের আনন্দ আমরা প্রকাশ করছি।
আরেক শিক্ষার্থী মেহেদি ইকবাল মাহি বলেন, সৈকত অনেক ধর্মবিদ্বেষী ছিল। গত রমজানে প্রোডাক্টিভ রমাদানে ওর নেতৃত্বেই হামলা হয়। সৈকতের হলের হওয়াতে আমাদের অনেক বেশি প্রোগ্রাম করা লাগতো। এমনও সপ্তাহ পার করতাম যেখানে ১০ থেকে ১৫টা প্রোগ্রাম করতে হতো। পাশাপাশি গেস্টরুমতো ছিলই। তাই এখন মুক্ত ঢাবিতে আমরা তাকে এভাবে স্মরন করছি।
প্রসঙ্গত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত করোন মহামারীর সময় জনসেবা করে জাতিসংঘ থেকে রিয়েল লাইফ হিরো উপাধি পান। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পরপরই পাল্টে যায় তার চেহারা। শিক্ষার্থীদের নির্যাতন, চাঁদাবাজি এমনকি নারী কেলেঙ্কারিসহ ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। সবশেষ ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পট পরিবর্তনে তিনি ঢাকা শাহজালাল বিমানবন্দরে আটক হন। বর্তমানে তিনি পুলিশি হেফাজতে আছে।