দৈনিক শিক্ষাডটকম, ঢাবি : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে 'সেন্টার ফর চায়না স্টাডিজ' এর উদ্বোধন করা হয়েছে। গত রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন মিলনায়তনে সেন্টারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চীনের রাষ্ট্রদূত মি. ইয়াও ওয়েন।
অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. দিদার-উল-আলম, চীনের সাংহাই ইনস্টিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. চেন ডাকিয়াও, ইস্ট চায়না নরমাল ইউনিভার্সিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. মু হোংলিয়ান, ইউনান ইউনিভার্সিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক হু জিনমিং বক্তব্য রাখেন। অধ্যাপক ড. সামসাদ মুর্তুজা অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন।
এসময় বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন হলের প্রভোস্ট, বিভাগীয় চেয়ারম্যানবৃন্দ, ইনস্টিটিউটের পরিচালকবৃন্দ, প্রক্টর, অফিস প্রধানগণ এবং চীনের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও গবেষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জন্মলগ্ন থেকেই এদেশের শিক্ষা ও গবেষণার পাশাপাশি রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক, সামাজিকসহ সকল ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিয়ে আসছে। বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিরাজমান রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের শিক্ষা, গবেষণা, আর্থ-সামাজিক উন্নয়নসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে চীনের সহযোগিতা অব্যাহত রয়েছে। চীনের বিভিন্ন খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে যৌথ শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা, শিক্ষক-শিক্ষার্থী বিনিময় এবং নতুন নতুন উদ্ভাবনে সহযোগিতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠিত এই 'সেন্টার ফর চায়না স্টাডিজ' গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
রাষ্ট্রদূত মি. ইয়াও ওয়েন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে 'সেন্টার ফর চায়না স্টাডিজ' প্রতিষ্ঠার সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা বিশেষ করে শিক্ষা, গবেষণা, সাংস্কৃতিক, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং উভয় দেশের দ্বিপাক্ষিক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক জোরদারের ক্ষেত্রে এই সেন্টার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।