ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিনেটে ২৫ জন রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট প্রতিনিধি নির্বাচন ঢাকায় আগামী ১৮ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া ৪, ১১ এবং ১৪ মার্চ ঢাকার বাইরের কেন্দ্রগুলোতে অনুষ্ঠিত হবে ভোট। ইতোমধ্যে সরকারপন্থি গণতন্ত্র ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার গণতান্ত্রিক ঐক্য পরিষদ তাদের ২৫ জনের প্যানেল ঘোষণা করেছে। তবে নির্বাচনে বিএনপিপন্থিরা মনোনয়নপত্রই জমা দেননি। নির্বাচনে অংশ নিতে ২৫ সদস্যের স্বতন্ত্র প্যানেল তৈরি করেছিল জামায়াতে ইসলামীপন্থিরা। তবে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশের মাত্র তিন দিন আগে প্রার্থীদের হয়রানি-গ্রেফতারসহ নানা অভিযোগ তুলে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে তারা। তবে নিজেদের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের দাবি করে ৯ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী একত্রিত হয়ে ‘টিম অপরাজেয়’ ব্যানারে প্রচারণায় নেমেছেন।
এবারের নির্বাচনে ৫২ হাজার ৪৭৮ জন আজীবন রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট এবং ৬৮৩৭ জন সেশন গ্র্যাজুয়েট ভোটারের বিপরীতে ২৫ পদে মোট ভোটার হয়েছেন ৬৮ জন। আগামী ৪ মার্চ ঢাকার বাইরের ২৯টি কেন্দ্রে সকাল ১০টা থেকে দুপুর দুইটা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ করা হবে। সব কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ শেষে ১৯ মার্চ নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে অপটিক্যাল কাউন্টিং সিস্টেম পদ্ধতিতে ভোট গণনা হবে।
কেন বিএনপিপন্থিরা এই নির্বাচনে নেই এমন প্রশ্নে সাদা দলের আহ্বায়ক লুৎফুর রহমান বলেন, রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত দলের কেন্দ্রীয় কমান্ড থেকে নেওয়া হয়। দল মনে করছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। এ ছাড়া বর্তমান সরকারের অধীনে বিএনপি কোনো নির্বাচন করবে না বলে ইতোমধ্যে জানিয়েছে। তাই আমরা প্রার্থী দেইনি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা সব প্রস্তুতি শেষ করেছি। ইতোমধ্যে ৪ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে প্রিসাইডিং অফিসাররা পৌঁছে গিয়েছেন। বাকি কেন্দ্রেও যথাসময়ে সবকিছু হবে।