দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক: নির্দিষ্ট সময়ে নির্বিঘ্ন তথ্য সেবা নিশ্চিত করতে বিদ্যমান গোপনীয়তার সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে সংশ্লিষ্ট সকল বিভাগকে তৎপর হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর। আইনের মাধ্যমে তথ্য প্রদান বাধ্যতামূলক করা হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নেতিবাচক মানসিকতার কারণে নির্দিষ্ট সময়ে তথ্য প্রদান বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
তথ্য অধিকার আইন বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও তথ্য অধিকার কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে দিনব্যাপী প্রশিক্ষণের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ইউজিসিতে মঙ্গলবার এ প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। ইউজিসির জনসংযোগ ও তথ্য অধিকার বিভাগের পরিচালক ড. শামসুল আরেফিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামান।
তথ্য অধিকার আইনকে একটি জনবান্ধব আইন হিসেবে অভিহিত করে অধ্যাপক আলমগীর বলেন, এই আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করতে সমাজকে আগে প্রস্তুত হতে হবে। তথ্য প্রদানের সাথে সংশ্লিষ্ট কোনো একটি পক্ষ অবহেলা করলে যথাসময়ে তথ্য প্রদান বিঘ্নিত হয়। তাই সকলকে তথ্য প্রদানের বিষয়টি বাধ্যবাধকাতার চেয়েও নাগরিক কর্তব্য হিসেবে সমানভাবে অনুধাবন করতে হবে বলে তিনি অভিমত প্রকাশ করেন।
তিনি আরও বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক তথ্য যথাযথভাবে সংরক্ষণের ব্যবস্থা না থাকায় অনেকসময় তথ্য প্রদান করা যায় না কিংবা তথ্য প্রদান বিলম্বিত হয়। তিনি তথ্য সংরক্ষণ ব্যবস্থা আধুনিক করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
অধ্যাপক আলমগীর বলেন, স্মার্ট একটি দেশ নির্মাণের অংশ হিসেবে তথ্য অধিকার আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। এই আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করতে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীকে দক্ষতা, সততা, দায়িত্বশীল ও মানবিকতাবোধ নিয়ে কাজ করার পরামর্শ দেন তিনি।
তিনি বলেন, সামাজিক অনেক সঙ্কটের মূলে রয়েছে যথাযথ শিক্ষার অভাব। দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে গুণগতমানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা গেলে সামাজিক মূল্যবোধ, খাদ্য, স্বাস্থ্যসহ অনেক সমস্যার সমাধান করা সম্ভব বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।
ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামান বলেন, প্রতিষ্ঠানের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করার জন্য তথ্য অধিকার আইন বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন। তিনি তথ্য অধিকার আইন বাস্তবায়নে জনসচেতনতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
ড. শামসুল আরেফিন বলেন, তথ্য অধিকার আইন প্রণয়নের মাধ্যমে সরকার কতিপয় ক্ষেত্র ছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক সকল তথ্যে জনগণের প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করেছে। তাই তথ্য প্রদানে সংশ্লিষ্ট সকলকে পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করার আহবান জানান তিনি। প্রশিক্ষণে দেশের ২৩টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আরটিআই ফোকাল পয়েন্ট/বিকল্প ফোকাল পয়েন্টসহ ইউজিসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।