কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে চলা সহিংসতায় হতাহতের ঘটনায় বাংলাদেশে গঠিত তদন্ত কমিটিকে জাতিসংঘ কারিগরি সহায়তা করতে চাইলে আপত্তি নেই সরকারের। তবে আলাদা কোনো তদন্ত কমিটিতে এখনই উৎসাহ নেই। বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) সন্ধ্যায় কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে উন্নয়ন অংশীদার দেশের রাষ্ট্রদূতদের ব্রিফিং শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
মাসুদ বিন মোমেন বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে বিদেশি কূটনীতিকদের আমরা লেটেস্ট তথ্য ও ভিডিও দেখিয়েছি। আমরা জানিয়েছি, হেলিকপ্টার থেকে র্যাব গুলি করেনি। এছাড়া আন্দোলনের সময় বিজিবি ও পুলিশের ভূমিকা কী ছিল, সেটাও তুলে ধরেছি। আমরা তাদের কাছে ভিডিও সরবরাহ করেছি।
পররাষ্ট্রসচিব জানান, কূটনীতিকদের সামনে আমরা আমাদের অবস্থান তুলে ধরেছি। আমরা জানিয়েছি, আন্দোলনে মৃত্যুর ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন কাজ শুরু করে দিয়েছে। কমিশন সুষ্ঠুভাবে প্রতিটি ঘটনার তদন্ত করবে।
এক প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্রসচিব জানান, বিদেশিদের এখানে বিনিয়োগ আছে। ইন্টারনেট বন্ধ ছিল। এসব নিয়ে তাদের উদ্বেগ রয়েছে। আমরা বিদেশিদের জানিয়েছি, শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশে কোনো বাধা দেয়া হচ্ছে না।
এক প্রশ্নের উত্তরে মাসুদ বিন মোমেন জানান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী কোটা সংস্কার আন্দোলনে এখনো পর্যন্ত প্রায় ১৫০ জন মারা গেছে। এর মধ্যে ছাত্র ছিল ২৫ জন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের বলেন, সাম্প্রতিক ঘটনাবলী নিয়ে গুজবের ভিত্তিতে বহির্বিশ্বে ভুল তথ্য উপস্থাপন করা হচ্ছে এতে বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগিতায় প্রভাব পড়বে না। বর্তমান সরকারের প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় আশ্বস্ত আছে।