দৈনিকশিক্ষাডটকম ডেস্ক: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হতে পারে ২৩ নভেম্বর। নির্বাচন কমিশন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সূত্র আরও জানায়, ২৯ জানুয়ারি মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে এ ব্যাপারে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সে হিসাব কষে ২৩ নভেম্বরকে তফসিলের উপযুক্ত সময় ধরে নিয়ে এগোচ্ছে কাজী হাবিবুল আওয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন।
তবে অপর একটি সূত্র জানায়, ২০ নভেম্বরের পরে আগামী সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন। মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) দৈনিক দেশ রুপান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়। প্রতিবেদনটি লিখেছেন পাভেল হায়দার চৌধুরী।প্রতিবেদনে আরও জানা যায় এ ছাড়াও বিভিন্ন সূত্র বলেন, নির্বাচনী পরিবেশ পরিস্থিতি বিতর্কমুক্ত রাখা ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানে দেশি-বিদেশি নানা মহলের চাওয়া হওয়ায় তফসিল ঘোষণায় খানিকটা সময় নিচ্ছে কমিশন। তফসিল ঘোষণার আগে পরিস্থিতি আরও একটু স্বাভাবিক করা, বড় রাজনৈতিক দলগুলোর অনমনীয় অবস্থান থেকে সরে আসাসহ বেশ কিছু প্রত্যাশা নির্বাচন কমিশনের।
কমিশন মনে করে, যেহেতু হাতে সময় রয়েছে ফলে তফসিল ঘোষণার আগে তারাও সময় নিতে আগ্রহী। এদিকগুলো আমলে নিয়ে ২০ নভেম্বরের পরে তফসিল ঘোষণার ব্যাপারে অবহিত করেন তারা।
নির্বাচন কনিশনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের এক নেতা বলেন, নির্দিষ্ট মেয়াদের অন্তত ১০ থেকে ১২ দিন আগে নির্বাচন হয়ে নতুন সংসদ সদস্য নির্বাচন ও শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হয়ে যাবে। নির্দিষ্ট মেয়াদ হলো, ২৯ জানুয়ারি। সে হিসাব করেই তফসিল হবে।
তিনি বলেন, এটা হতেই হবে, এটা সাংবিধানিক নিয়ম। সাংবিধানিক নিয়মের মধ্যেই ইলেকশন কমিশনকে নির্বাচন পরিচালনা করতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর অনেক
'ফ্লেক্সিবিলিটি' আছে। তারা চাইলে নির্বাচনে আসতে পারে আবার না-ও আসতে পারে। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের কোনো 'ফ্লেক্সিবিলিটি' নাই। তাকে সংবিধানে বিবৃত যে নিয়ম সে অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে হবে।