স্কুল শিক্ষার্থীদের অস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণ দিচ্ছে তাইওয়ান। এ লক্ষ্যে স্কুল ক্যাম্পাসে করা হয়েছে ইনডোর শুটিং রেঞ্জ। সামরিক বাহিনীর প্রশিক্ষকের উপস্থিতিতেই দেয়া হচ্ছে প্রশিক্ষণ। তাইওয়ান ও চীনের মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে থাকায় শিক্ষার্থীদের জাতীয় প্রতিরক্ষা সম্পর্কে ধারণা দিতে এ উদ্যোগ বলছে তারা।
তাইওয়ানের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর কাওশিউংয়ে চলছে অস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণ। তবে সামরিক বাহিনীর সদস্য নয়, প্রশিক্ষণ নিচ্ছে হাই স্কুলের শিক্ষার্থীরা। সম্প্রতি সান মিন সিনিয়র হাই স্কুলে স্থাপন করা হয় শুটিং রেঞ্জ।
সামরিক বাহিনীর প্রশিক্ষকের উপস্থিতিতে দেয়া হচ্ছে প্রশিক্ষণ। যেকোনো সংঘাতের জন্য শিক্ষার্থীদের প্রস্তুত করতে এ উদ্যোগ।
জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে বেসামরিক নাগরিকদের প্রাথমিক চিকিৎসার কৌশল, সামরিক সরঞ্জাম সম্পর্কে জানা, মহড়ায় অংশ নেওয়া, বিভিন্ন ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার শেখানো হচ্ছে।
বন্দুক চালানোর পাশাপাশি, ফ্লাইট সিমুলেটর ব্যবহার করে সামরিক বিমান উড়ানোর অভিজ্ঞতাও পাচ্ছে শিক্ষার্থীরা।
প্রধান সামরিক প্রশিক্ষক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সিয়াও ইউয়েহ-চিন বলেন, জাতীয় প্রতিরক্ষার দায়িত্ব সব নাগরিকের, আমরা চাই শিক্ষার্থীরা এই বিষয়টি জানুক। ইউক্রেনের পরিস্থিতি সম্পর্কে সবাই জানি। আমাদের সম্ভাব্য বিপদ সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। তাইওয়ানকে রক্ষায় প্রত্যেক নাগরিককে প্রস্তুত থাকতে হবে।
তবে, এ প্রশিক্ষণ আসল যুদ্ধাবস্থা মোকাবিলার জন্য যথেষ্ট নয় বলে মনে করছেন এই সামরিক বিশ্লেষক।
ডিফেন্স ইন্টারন্যাশনাল ম্যাগাজিনের জ্যেষ্ঠ সম্পাদক জেরি সং বলেন, এ প্রশিক্ষণ শিক্ষার্থীদের কেবল আগ্নেয়াস্ত্র সম্পর্কে ধারণা পেতে সাহায্য করবে। তারা শ্যুটিং কী এবং কীভাবে গুলি করতে হয় তার মূল বিষয়গুলি জানবে। তবে, প্রকৃত আগ্নেয়াস্ত্র সম্পর্কে আরও শিখতে হবে।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে মার্কিন হাউস স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থির সঙ্গে বৈঠক করেন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং ওয়েন। এর প্রতিক্রিয়ায় তাইওয়ান প্রণালিতে সামরিক মহড়া চালায় চীন। এরপর থেকেই হামলার শঙ্কায় রয়েছে তাইপে।
সূত্র : ইনডিপেনডেন্ট