বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞায় জারি করা রিটের চিঠি তার সংশোধিত গুলশানের ঠিকানায় পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
রোববার বিচারপতি বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও খায়রুল আলমের বেঞ্চ এই আদেশ দেন। এসময় প্রয়োজনে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিতে বলেছেন আদালত।
আইনের চোখে পলাতক থাকায় ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দের থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রচার নিষিদ্ধ করে নির্দেশ দিয়েছিলেন কোর্ট। এক রিটের আদেশে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিকসহ সব ধরনের মিডিয়ায় এই নির্দেশ বাস্তবায়নের কথা বলা হয়।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সক্রিয় হয়েছেন তারেক রহমান। লন্ডন থেকে প্রায়ই তার বক্তব্য প্রচার হয়। দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে অংশ নিয়ে বক্তব্য দিচ্ছেন তিনি।
এরই প্রেক্ষিতে গত ২ আগস্ট তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচার বন্ধ চেয়ে রুল শুনানির আবেদন করেন আইনজীবী নাসরিন সিদ্দিকা লীনা।
গত বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এক আদেশে বলেন, প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন গণমাধ্যমসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচার বন্ধের বিষয়ে তার ঠিকানা সংশোধন করে রিটকারীকে নতুন আবেদন করতে হবে।
এ সময় তারেক রহমানের বিদেশে বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে জানাতে পররাষ্ট্র সচিবকে নির্দেশ দেয়া হয়। তারেক রহমানের পাসপোর্টের মেয়াদের বিষয়েও পুলিশের মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) একটি প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেন আদালত। আদেশ পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে জানাতে বলা হয়।
দুর্নীতি, বোমা হামলা, সম্পদের তথ্য গোপনসহ পাঁচটি মামলায় দণ্ডিত তারেক রহমান গত ১৫ বছরের বেশি সময় লন্ডনে বসবাস করছেন।
সম্প্রতি জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনে তারেক রহমানের ৯ বছর ও তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানের তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
২১ আগস্ট শেখ হাসিনার জনসভায় গ্রেনেড মামলায় যাবজ্জীবন সাজা পাওয়া তারেক আরও তিনটি মামলায় আদালতের দণ্ডপ্রাপ্ত। এগুলোর মধ্যে জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১০ বছর, অর্থ পাচারের দায়ে সাত বছর এবং বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তি করার অপরাধে দুই বছরের সাজা পেয়েছেন।