সাতক্ষীরা সদরে আগুনে পুড়ে যাওয়া ঘর থেকে আরিফ বিল্লাহ (৭) নামের এক স্কুলছাত্রের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে সদর উপজেলার ধলবাড়িয়া মাঠপাড়ার আশ্রয়ণ প্রকল্পে এ ঘটনা ঘটে।
আরিফ বিল্লাহ ওই প্রকল্পের বাসিন্দা ইয়াসিন আলীর ছেলে। সে ধলবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র ছিল। পারিবারিক কলহের কারণে ছেলেকে হত্যা করে মাদকাসক্ত ইয়াসিন ঘরে আগুন দিয়েছে বলে অভিযোগ আরিফের মা রোকেয়া খাতুনের। এ ঘটনায় মামলা হওয়ায় ইয়াসিনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ইয়াসিনের মা মলুদা খাতুন বলেন, ইয়াসিন তার ছেলেকে হত্যা করে ঘরে আগুন লাগিয়ে মামার বাড়ি আগরদাড়িতে চলে যায়। সেখানে সে সামনে যাকে পেয়েছে, তাকে পিটিয়েছে। পরে ইয়াসিনকে শিকল দিয়ে বেঁধে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
নিহত আরিফের মা রোকেয়া খাতুন জানান, তাঁর স্বামী ইয়াসিন মাদকাসক্ত এবং অস্ত্র মামলার আসামি। এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে ঝগড়া লেগেই থাকত। মঙ্গলবার ইয়াসিন তাঁকে মারধর করলে ছেলে আরিফকে নিয়ে তিনি ধুলিহর গ্রামে নানা ইজ্জত আলীর বাড়িতে যান। বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সেখান থেকে আরিফকে নিয়ে যান ইয়াসিন। পরে আর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ হয়নি।
রোকেয়া খাতুন বলেন, ‘বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে মোবাইল ফোনে খবর পাই, আমাদের বাড়ি আগুনে পুড়ে গেছে। তাৎক্ষণিক স্বজনদের নিয়ে এসে জানতে পারি, ছেলেকে হত্যা করে বাইরে থেকে দরজা লাগিয়ে ঘরে আগুন দিয়েছে ইয়াসিন।’
সাতক্ষীরা সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক নজরুল ইসলাম জানান, শিশুটির মা রোকেয়া খাতুন গতকাল বিকেলে থানায় মামলা করেছেন। সেই মামলায় ইয়াসিনকে গ্রেফতার দেখিয়ে গতকালই আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। সম্ভবত, সে মাদকাসক্ত। থানায় সে অসংলগ্ন আচরণ করছেন। শিশুটির লাশ পুড়ে গেছে। প্রাথমিকভাবে বোঝা যাচ্ছে না আগে হত্যা করে আগুন দেওয়া হয়েছে, না কি পুড়ে মারা গেছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।