কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদারকে আটক করা হয়নি বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি গণমাধ্যমকে বলেছেন, তাদের নিরাপত্তার জন্যই পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে। শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে ধানমন্ডিতে নিজ বাসায় সংবাদ সম্মেলন করে এ কথা বলেন তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, তারা (তিন সমন্বয়ক) নিজেরাই ইনসিকিউরড (অনিরাপদ) মনে করছে। তারা মনে করছিল, যারা তাদেরকে বুদ্ধি পরামর্শ দিচ্ছে, তাদের কেউ কেউ থ্রেট (হুমকি) দিচ্ছে। এ তিনজন তাদের অভিভাবকদের নিরাপত্তাহীনতার কথা জানিয়েছিল। তাদের সিকিউরিটির জন্যই তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা দরকার। কারা তাদের থ্রেট দিচ্ছে বা ধমকাচ্ছে। সেটা জানার জন্যই ডেকে নেয়া হয়েছে তাদের। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নিরাপত্তা ও জিজ্ঞাসাবাদের কথা বলে এ পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশও (ডিবি)। শুক্রবার রাতে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ বলেন, নিরাপত্তার স্বার্থে ও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের হেফাজতে নিয়েছে ডিবি। রাতে তাদের ডিবি কার্যালয়ে রাখা হয়েছে বলেও তিনি জানান।
এর আগে শুক্রবার বিকেলে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল থেকে আন্দোলনের তিন সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ এবং আবু বাকের মজুমদারকে তুলে নেয়ার অভিযোগ করেছিলেন আরেক সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসুদ। তিনি বলেন, তিন সমন্বয়ক এবং নাহিদ ইসলামের স্ত্রীকে হাসপাতাল থেকে সাদা পোশাকের কিছু লোক তুলে নিয়ে গেছে। আমরাও আতঙ্কে আছি। সংবাদ সম্মেলন করে আমাদের পরবর্তী কর্মসূচি জানানোর চেষ্টা করছি।
হাসপাতাল থেকে নেয়ার পর নাহিদের বোন ফাতেমা তাসলিম বলেন, গোয়েন্দা পুলিশ নাহিদ আর আসিফকে তুলে নিয়ে গেছে। তখন তারা দু’জনই অসুস্থ ছিলো। তুলে নেয়ার সময় তারা দু’জনই থরথর করে কাঁপছিল। তাদেরকে প্যান্ট পরতেও দেয়া হয়নি।