প্রার্থীদের তিনবারের বেশি বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়া উচিত নয় বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক শিক্ষাসচিব ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘরের কিউরেটর মো. নজরুল ইসলাম খান (এন আই খান)।
তিনি বলেছেন, দুই বা তিনবার বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিলে একজন প্রার্থী প্রশ্নের ধরন বুঝে যান। এতে তিনি সহজেই বিসিএস উত্তীর্ণ হয়ে কর্মকর্তা হয়ে যান। ফলে ভালো অফিসার-ম্যাটারিয়াল প্রার্থীরা সুযোগ হারান।
গত শনিবার রাতে দেশ টিভি ও দৈনিক শিক্ষাডটকমের যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত `শিক্ষা বৈঠকী’ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে এন আই খান এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে দৈনিক আমাদের বার্তা ও দৈনিক শিক্ষাডটকমের সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান খান বলেন, অনেকে চার পাঁচবার বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নেন। বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের একটি সাম্প্রতিক তথ্যে দেখা গেছে, যারা কম বয়সে বিসিএস উত্তীর্ণ হয়ে চাকরিতে যোগ দেন তাদের সঙ্গে অপেক্ষাকৃত বেশি বয়সি, চার-পাঁচবার পরীক্ষায় অংশ নিয়ে চাকরি পাওয়া প্রার্থীদের কার্যক্রমে কিছুটা পার্থক্য আছে।
এ বিষয়ে সাবেক শিক্ষাসচিবের মন্তব্য জানতে চান তিনি।
এ প্রসঙ্গে এন আই খান বলেন, বিদ্যমান বিসিএসের যেটা সবচেয়ে বড় ডিফেক্ট তা হলো- একজন পাঁচবার/ছয়বার পরীক্ষা দিতে পারেন। সিদ্দিকুর রহমান দীর্ঘদিন শিক্ষা নিয়ে কাজ করেন। তাই এ বিষয়ে তার অভিজ্ঞতা আছে। আমি তার সঙ্গে শতভাগ একমত। দুই, বড়জোর তিনবারের বেশি বিসিএস পরীক্ষা দিতে দেয়া উচিত নয়।
সাবেক শিক্ষাসচিব বলেন, তিন-চারবার পরীক্ষা দিলে প্রার্থীরা প্রশ্নের গদ বুঝে যান। কারণ, আমাদের এখানে একই ব্যক্তিরা বারবার প্রশ্ন করেন। এতে অভিজ্ঞ বিসিএস প্রার্থীরা সহজে পাস করে যান। যারা খুব দুর্বল ভাইভাতে তারা হয়তো আটকে যান৷ ফলে ভালো অফিসার- ম্যাটারিয়ালরা সুযোগ হারান।
তিনি আরও বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমি পাবলিক সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান মহোদয়ের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি নিজেও চান (চার-পাঁচবার বিসিএস পরীক্ষার সুযোগ না দিতে)। কিন্তু অন্যরা এটা চান না।
এন আই খান বলেন, প্রিলিমিনারি, রিটেন, ভাইভা তিন ধাপে বিসিএস পরীক্ষা নেয়ায় এখানে দুর্নীতির সুযোগ নেই। কোনো না কোনোভাবে আটকে যায়। তেমনি দুর্বলরাও কোন না কোন ধাপে আটকে যান।