প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন ভারত সফরে তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হতে পারে। সূত্রমতে, এ মাসে দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দিপক্ষীয় বৈঠকের পর আগামী মাসে বেইজিং সফরের যাওয়ার সম্ভাবনা আছে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। সেখানে চীনের অর্থায়নে তিস্তা প্রকল্প নিয়ে আলোচনা হতে পারে।
গত ৯ জুন তৃতীয়বারের জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেন নরেন্দ্র মোদী। সেই শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ৮ তারিখে দিল্লি যান শেখ হাসিনা। ১০ তারিখে ঢাকা ফেরেন তিনি। বাংলাদেশের কূটনৈতিক মহল সূত্রে সূত্রে খবর, আগামী ২১ জুন ফের দিল্লি যাবেন তিনি। সেখানে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন।
প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচন চলার সময়েই মে মাসে ঢাকা এসেছিলেন ভারতের বিদেশসচিব বিনয় কোয়াত্রা। সেই সময়েই তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে হাসিনাকে দিল্লি সফরের আমন্ত্রণ জানান। তখনই জানানো হয়, ভারতের নতুন সরকার গঠন হওয়ার পরেই দিল্লি যাবেন শেখ হাসিনা।
দুই দিনের ভারত সফরে দিল্লিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী । বৈঠকে দুই শীর্ষ নেতা দুই দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করবেন বলে জানা গেছে। একই সঙ্গে ঢাকার আশা, তিস্তা চুক্তি, তিস্তা প্রকল্প, গঙ্গাসহ অভিন্ন নদীর পানিবণ্টন ছাড়াও ভারতের সঙ্গে ঝুলে থাকা বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আলোচনা হবে ওই বৈঠকে।
জানা গেছে, বিনয় কোয়াত্রার কাছে থেকে আমন্ত্রণপত্র পাওয়ার পরে জুনের ২১-২৩ এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর সফর নিয়ে প্রস্তুতিও নিচ্ছিল ঢাকা। কিন্তু, জোট সঙ্গী নিয়ে, তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর নরেন্দ্র মোদী টেলিফোনে কথা বলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। তাঁর নতুন সরকারের শপথ অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনাকে আসার জন্যও আমন্ত্রণ জানান মোদী।
বঙ্গবন্ধু কন্যাও সেই আমন্ত্রণ গ্রহণ করে যোগ দেন মোদীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে। ওই শপথগ্রহণের পরে কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে সঙ্গে নিয়ে মোদীর সঙ্গে একান্তে কথাও বলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। তারপরেই, বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী হাছান মাহমুদ জানান, ওই বৈঠকে দুই প্রধানমন্ত্রীই নিজেদের মধ্যে থাকা সম্পর্ক আগামীদিনে আরও দৃঢ় করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। তাঁদের আশা, আগামীদিনে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও গভীর হবে।