প্রায় দেড় বছর বন্ধ থাকার পর আজ রোববার থেকে দেশের প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খুলছে। তবে প্রয়োজনীয় শিক্ষক না থাকায় প্রতিষ্ঠান প্রধানরা পড়েছেন বিপাকে। মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার লৌহজং পাইলট হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক এস এম ফেরদৌস হেলাল তাদের একজন। তিনি জানান, তার প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায় শিক্ষা শাখার একমাত্র শিক্ষক বেশ কয়েকদিন আগে অবসরে গিয়েছেন। এনটিআরসিএতে চাহিদা দেওয়ার পর দুজন শিক্ষক তার প্রতিষ্ঠানে সুপারিশ পেয়েছেন। কিন্তু তারা এখনো যোগদান করেননি। তাই চলতি বছর ও আগামী বছরের ব্যবসায় শিক্ষা শাখার পরীক্ষার্থীদের কিভাবে ক্লাস নেবেন, ভেবে পাচ্ছেন না এ প্রধান শিক্ষক।
এস এম ফেরদৌস হেলাল দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক পদ শূন্য আছে ৫টি। ব্যবসায় শিক্ষা বিষয়ের দুটি শিক্ষক পদ শূন্য। একটি আগের পদ, একটি নতুন সৃষ্টি। বছর দুই আগে এনটিআরসিএতে চাহিদা দিয়েছিলেন ২টি পদের। এরপর আরও তিনটি শিক্ষক পদ শূন্য হয়েছে। দুজন শিক্ষক ব্যবসায় শিক্ষায় সুপারিশ পেলেও কজন যোগদান করবেন, জানেন না প্রধান শিক্ষক। একজন ইনডেক্সধারী শিক্ষক সুপারিশ পাওয়ায় তিনি হয়তো যোগদান করবেন না বলে ধারণা করছেন প্রতিষ্ঠান প্রধান। তার প্রতিষ্ঠানে জীববিজ্ঞান ও হিন্দু ধর্ম শিক্ষকও নেই বলে জানান তিনি।
এখানকার পাশের স্কুল লৌহজং পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা বিষয়ের একমাত্র সহকারী শিক্ষক মো. হাবিবুর রহমানও গত বছর অবসরে গিয়েছেন। এ প্রতিষ্ঠানে ৯টি শিক্ষক পদ শূন্য। তাই প্রতিষ্ঠানটির ব্যবসায় শিক্ষা শাখার ছাত্রীদের কিভাবে ক্লাস করানো হবে জানে না প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ। খণ্ডকালীন শিক্ষক খোঁজার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।
ঝালকাঠির নলছিটি গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজে ১০ শিক্ষকের পদ শূন্য। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান জলিলুর রহমান দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেছেন, এখন যেহেতু কিছুসংখ্যক শিক্ষার্থীর নিয়মিত ক্লাস হবে সেজন্য আপাতত সমস্য না হলেও পরে সব শিক্ষার্থীর ক্লাস চলাতে সমস্যা হবে। এ প্রতিষ্ঠানেও এনটিআরসিএ শিক্ষক পদে প্রার্থী সুপারিশ করেছে, তবে কেউ যোগদান করতে পারেনি।
এমন পরিস্থিতি দেশের বেশিরভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৮০ হাজারের বেশি শিক্ষক পদশূন্য আছে। গত জুলাই মাসে এনটিআরসিএ ৩৮ হাজারের বেশি প্রার্থীকে সুপারিশ করলেও পুলিশ ভেরিফিকেশন না হওয়ায় তারা যোগদান করতে পারেননি। এই ৩৮ হাজারের মধ্যে অবশ্য ইনডেক্সধারী শিক্ষকও রয়েছেন। এরকম শিক্ষক সংকট নিয়েই আজ প্রতিষ্ঠানগুলোতে ক্লাস শুরু হচ্ছে।
৮০ হাজারের বেশি শিক্ষক পদ শূন্য :
বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক হতে প্রার্থীদের নিবন্ধন ও নিয়োগ সুপারিশের দায়িত্বে থাকা বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) কর্মকর্তারা ধারণা করছেন, এ মুহূর্তে দেশের ৪০ হাজারের বেশি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৮০ হাজারের বেশি পদ শূন্য রয়েছে।
এনটিআরসিএর এক কর্মকর্তা দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের শূন্যপদের তথ্য সংগ্রহের পর তা ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের জানুয়ারিতে সংশোধন করা হয়। সে সময় ৫৪ হাজারের বেশি শিক্ষক শূন্যপদের হিসাব পেয়েছিল এনটিআরসিএ। গত ১ বছরে আরও ৩০ হাজারের বেশি শিক্ষক পদ শূন্য হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা ধারণা করছেন। এমন পরিস্থিতিতে গত জুলাই মাসে নিবন্ধিত ৩৮ হাজার প্রার্থীকে নিয়োগ সুপারিশ করা হলেও তারা যোগদান করতে পারেননি এখনো। তাদের মধ্যে আবার একটা বড় অংশ ইনডেক্সধারী। ৫৪ হাজার শিক্ষক পদের জন্য গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেও ১৫ হাজারের বেশি পদে প্রার্থী পাওয়া যায়নি। পুলিশ ভেরিফিকেশন শেষে নতুন সুপারিশ পাওয়া শিক্ষকরা কাজে যোগ দিলে শিক্ষক সংকট কমবে বলে আশা তার।
৩৮ হাজার নতুন শিক্ষক যোগদান কবে কেউ জানে না:
করোনায় দেড় বছরের বেশি সময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের ক্ষতি হয়েছে সবচেয়ে বেশি। স্কুল খোলার পর শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পোষাতে দ্রুত শিক্ষক নিয়োগের ব্যবস্থা করেছিল সরকার। আবেদন গ্রহণের পর প্রার্থীরা সুপারিশও পেয়েছেন। কিন্তু শিক্ষক পদের যোগদানের আগে প্রার্থীদের পুলিশ ভেরিফিকেশন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ ও প্রার্থীরা। কিন্তু এ জন্য অনেক সময় লেগে যাচ্ছে।
সুপারিশপ্রাপ্তরা দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলছেন, পুলিশ ভেরিফিকেশনের সিদ্ধান্তে আমরা খুশি। তবে এ জন্য অনেক সময় লাগছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, এনটিআরসিএ ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভেরিফিকেশনের ফরম সংগ্রহ করবে। পরে তা শিক্ষামন্ত্রণালয় হয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। সেখান থেকে তা পুলিশের কাছে যাবে। পুলিশ ভেরিফিকেশন শেষ করে রিপোর্ট পাঠাবে। তার পর প্রার্থীদের সুপারিশপত্র প্রকাশ করা হবে। তবে কবে নাগাদ প্রার্থীদের পুলিশ ভেরিফিকেশন শুরু হবে বা যোগদান করতে পারবেন সে বিষয়ে প্রশ্ন করলে কোনো জবাব দিতে পারেননি শিক্ষক নিয়োগ সুপারিশের দায়িত্বে থাকা সংস্থা এনটিআরসিএর কর্মকর্তারা।
ওদিকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ায় খুশি শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও প্রতিষ্ঠান প্রধানরা। তবে শিক্ষক সংকট প্রতিষ্ঠান প্রধানদের ভাবাচ্ছে। তারা বলছেন, শিক্ষক না থাকায় নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে।
বাংলাদেশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান পরিষদের সভাপতি নৃপেন্দ্র চন্দ্র দাস, সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান বাবুল এবং সাংগঠনিক সম্পাদক দুলাল চন্দ্র চৌধুরী দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, শিক্ষক সংকট নিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলায় প্রতিষ্ঠানগুলোতে নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে সংগঠনের পক্ষ থেকে আমরা বসবো। এ বিষয়ে সংগঠনের পক্ষ থেকে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হবে।
নতুন সুপারিশপ্রাপ্তদের দ্রুত যোগদানের ব্যবস্থা নেওয়ার তাগিদ :
নতুন সুপারিশপ্রাপ্ত প্রার্থীরা শিক্ষক পদে দ্রুত যোগদান করতে চাচ্ছেন। তাদের দ্রুত যোগাদানের ব্যবস্থা করানোর তাগিদ জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠান প্রধানরাও। নতুন সুপারিশপ্রাপ্ত প্রার্থীরা দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেছেন, ‘আমরা দ্রুত শিক্ষক পদে যোগদান করতে চাই। পুলিশ ভেরিফিকেশন হবে সেটিকে অবশ্যই সাধুবাদ জানাচ্ছি। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে আমরা দেখছি যোগদানের পর পুলিশ ভেরিফিকেশন হয়। সেভাবে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে নতুন সুপারিশ পাওয়া প্রার্থীদের যোগদানের ব্যবস্থা করানো হলে শিক্ষক সংকট কাটানোর ব্যবস্থা করানো যেতে পারে। পুলিশ ভেরিফিকেশনে খারাপ রিপোর্ট আসলে তাকে চূড়ান্ত সুপারিশ করা হবে না।’ এদিকে প্রতিষ্ঠান প্রধান পরিষদের নেতারাও নতুন শিক্ষকদের যোগদানের পর তাদের পুলিশ ভেরিফিকেশন করানোর পক্ষে মত দিয়েছেন।
বড় নিয়োগে শিক্ষক সংকট কাটছে না :
দীর্ঘ দুই বছর পর শিক্ষক সংকট নিরসনের উদ্যোগ নিয়েছিল সরকার। বেসরকারি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৩১ হাজার ২৮৬ জন নিবন্ধিত প্রার্থীদের শিক্ষক পদে নিয়োগে প্রাথমিক সুপারিশ করেছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। কিন্তু গণবিজ্ঞপ্তি ও এমপিও নীতিমালায় এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের নতুন করে নিয়োগের আবেদন করার সুযোগ রাখা হয়েছিল। এতে করে এ নিয়োগে বেশিরভাগ ইনডেক্সধারী প্রার্থী (ইতোমধ্যে এমপিওভুক্ত শিক্ষক) নিয়োগ সুপারিশ পেয়েছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন সাধারণ নিবন্ধিত প্রার্থীরা ও প্রতিষ্ঠান প্রধানরা। এতে বেকার নিবন্ধিতরা তাদের কাঙ্ক্ষিত প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ সুপারিশ পাননি। তাদের অভিযোগ, ইনডেক্সধারী অর্থাৎ এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা নিজেদের একটি পদ খালি করে অপর একটি পদে নিয়োগ সুপারিশ নিয়েছেন। এতে একটি পদ শূন্যই থাকছে। এ পরিস্থিতিতে বিপুল সংখ্যক পদে নিয়োগ সুপারিশ করা হলেও শিক্ষক সংকট নিরসন হয়নি। অনেক ক্ষেত্রে এমপিওভুক্ত অনেক শিক্ষক নিয়োগ সুপারিশ পেলেও সে পদে যোগদান করবেন না। এতে করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোয় দীর্ঘদিন ধরে শূন্য থাকা পদগুলো খালিই পড়ে থাকছে।
এদিকে কতজন এমপিওভুক্ত শিক্ষক নতুন করে শিক্ষক পদে নিয়োগ সুপারিশ পেয়েছেন সে হিসেব নেই এনটিআরসিএর হাতে। তবে কর্মকর্তারাও বদলি পদ্ধতির অভাব অনুধাবন করছেন। তারা বলছেন, ইনডেক্সধারীদের আবেদনের সুযোগ দিয়ে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হলে এবং বদলি প্রথা চালু না হলে চলমান শিক্ষক সংকট নিরসন সম্ভব নয়।
জামালপুর সদর উপজেলার মামুন স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ে এ গণবিজ্ঞপ্তিতে তিনজন শিক্ষক নিয়োগ সুপারিশ পেয়েছেন। তবে, তাদের মধ্যে দুজন ইনডেক্সধারী ও একজন সরকারি প্রাথমিকের শিক্ষক হওয়ায় কেউই যোগদান করতে চাচ্ছেন না। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম দৈনিক আমাদের বার্তাকে জানিয়েছেন, তার প্রতিষ্ঠানে ইংরেজি, বিজ্ঞান ও ধর্ম শিক্ষক নিয়োগের জন্য এনটিআরসিএতে চাহিদা দিয়েছিলেন। এ পদগুলোর একটি ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দে এবং ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দে খালি হয়। কিন্তু যারা সুপারিশ পেয়েছেন তাদের মধ্যে দুজন ইতোমধ্যে মাদরাসায় এমপিওভুক্ত শিক্ষক হিসেবে কর্মরত। আর অপরজন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। তাই কেউই প্রতিষ্ঠানটিতে যোগদান করতে চাচ্ছেন না। তাই তার প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক পদ পূরণ হচ্ছে না।
তিনি দৈনিক আমাদের বার্তাকে জানান, সুপারিশ পাওয়া শিক্ষকরা ইতোমধ্যে এমপিওভুক্ত হওয়ায় তারা নিয়োগ সুপারিশ পেয়ে যোগদান করতে চাচ্ছেন না। কেউ বেসরকারি বেতন কত তা জানতে চাচ্ছেন, কেউ জানতে চাচ্ছেন কতজন শিক্ষার্থীকে প্রাইভেট পড়াতে পারবেন। এ পরিস্থিতিতে ইনডেক্সধারীদের সুপারিশ করে প্রতিষ্ঠানগুলোকেও হয়রানি করা হচ্ছে।
এ শিক্ষক সংকট নিরসনে আলাদা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের কথা বলছেন প্রতিষ্ঠান প্রধানরা। প্রতিষ্ঠান প্রধান পরিষদের সভাপতি নৃপেন্দ্র চন্দ্র দাস দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, শিক্ষকদের প্রতিষ্ঠান পরিবর্তনের জন্য আলাদা বিজ্ঞপ্তি এবং নিয়োগের জন্য আলাদা বিজ্ঞপ্তি দেওয়া যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে এক বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষকরা প্রতিষ্ঠান পরিবর্তন করার আবেদন করবেন। পরে যে পদগুলো শূন্য হবে, সেপদগুলোতে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া যেতে পারে। এভাবে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক সংকট কাটানো সম্ভব।
শিক্ষা প্রশাসন যা বলছে :
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নতুন নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকরা যোগদান করলেই সংকট কাটবে। করোনা কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ও দীর্ঘদিন নিয়োগ দিতে না পারায় এ সংকট সৃষ্টি হয়েছে। যা সাময়িক। নতুন শিক্ষকরা যোগদান করলেই সংকট কেটে যাবে।
তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এনটিআরসিএর এক কর্মকর্তা দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, যতদিন ইনডেক্সধারী ও নিবন্ধিতরা একসাথে আবেদন করে নতুন নিয়োগ না পাবে ততদিন শিক্ষক সংকট কাটানো প্রায় অসম্ভব। কারণ এমপিও নীতিমালা অনুসারে শিক্ষক নিয়োগ দিতে ইনডেক্সধারীদের আবেদনের সুযোগ দিতে হবে। তারা আবেদন করে এক প্রতিষ্ঠান থেকে অন্য প্রতিষ্ঠানে যাবে। আগের প্রতিষ্ঠানের পদ শূন্যই থাকবে।
তিনি আরও বলেন, এমপিও নীতিমালা শিক্ষা মন্ত্রণালয় করেছে। তা মেনে এনটিআরসিএ নিয়োগ দেয়। যদি শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে কোন পদক্ষেপ না নেয় তাহলে স্থায়ীভাবে শিক্ষক সংকট নিরসন কঠিন হয়ে যাবে।