কক্সবাজারের টেকনাফে তৃতীয় শ্রেণির এক মাদরাসা শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে। মাদরাসার ভাইস প্রিন্সিপালের ছেলে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব। এরই মধ্যে অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হ্নীলা পশ্চিম সিকদার পাড়া বাড়ির সামনে থেকে নিখোঁজ হয় শিশু ফারিহা। খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে তার মায়ের কাছে একটি ফোন আসে। ফারিহাকে বাঁচাতে চাওয়া হয় ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ।
ফোনের ওপাশ থেকে বলা হয়, টাকা পেলে ফারিয়াকে পাঠিয়ে দেব।
হ্নীলা দারুস সুন্নাহ মাদরাসার নুরানী বিভাগের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী ফারিহাকে অপহরণের বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়। পরে র্যাব ও পুলিশ যৌথ অভিযান শুরু করে। শুক্রবার বিকেলে আটক হন দারুস সুন্নাহ মাদরাসার ভাইস প্রিন্সিপাল মুফতি আলী আহমদের ছেলে, মাদরাসা ছাত্র এরফান। জিজ্ঞাসাবাদে ফারিহাকে হত্যার কথা তিনি স্বীকার করেন।
আটক এরফান হ্নীলা দারুস সুন্নাহ মাদরাসার জামাতে হাফতুম শিক্ষার্থী।
র্যাব জানায়, খাবারের লোভ দেখিয়ে মাদরাসার একটি কক্ষে নিয়ে ধর্ষণের পর তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এরফান। পরে মরদেহ মাদরাসার পেছনে নালায় ফেলে দেয় সে।
র্যাব-১৫’র ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক সৈয়দ সাদিকুল হক জানান, মাদরাসায় এরফানের বাবার ঘরেই শিশু ফারিহাকে হত্যা করা হয়।
তিনি বলেন, অভিযুক্ত প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, তিনি ধর্ষণের উদ্দেশ্যেই এই অপহরণ করে পরে তিনি ধর্ষণের বিষয় গোপন করতে শিশুটিকে শ্বাসরোধে হত্যা করে।
এদিকে এরফানের কঠোর শাস্তি ও মাদরাসাটি বন্ধের দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয়দের মাদরাসার ভেতরের এ ধরনের ঘটনায় সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন।