নাটোরে থানা হেফাজতে আসামিদের নির্যাতনের অভিযোগে উঠেছে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ওসি ও দুই উপপরিদর্শকসহ পাঁচ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে।
এঘটনায় বৃহস্পতিবার অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য পুলিশ সুপারকে আদেশ দিয়েছেন লালপুর আমলী আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোসলেম উদ্দীন।
সত্যতা নিশ্চিত করে লালপুর আমলী আদালতের বেঞ্চ সহকারী আব্দুল্লাহ বিশ্বাস জানান, বড়াইগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরীফ আল রাজিব, লালপুর থানার ওসি মো. উজ্জল হোসেন, উপপরিদর্শক মো. জাহিদ হাসান, উপপরিদর্শক ওমর ফারুক শিমুল এবং অপর এক কনস্টেবল তাদেরকে নির্যাতন করেছেন বলে আদালতের কাছে দেয়া জবানবন্দীতে আসামীরা অভিযোগ করেন।
তিনি আরও জানান, বুধবার লালপুর থানা পুলিশ অটোরিকশা ছিনতাই মামলায় মো. সোহাগ হোসেন, মো. শামীম মোল্লা, মো. সালাম ও মো. রাকিবুল ইসলাম রাকিব নামে চার আসামিকে আদালতে পাঠায়। এসময় চার আসামির মধ্যে রাকিব বাদে তিনজনই থানায় পুলিশ হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগ করেন।
পরে আসামিদের ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য প্রেরণ করার জন্য নাটোরের জেল সুপারকে এবং নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ককে আদেশ দেন আদালত।
বৃহস্পতিবার বিকালে আদালতে মেডিকের সার্টিফিকেট দেন আবাসিক চিকিৎসক ডা. মো. সামিউল ইসলাম। আসামিদের মধ্যে মো. সালাম এবং মো. শামীম মোল্লার শরীরে নির্যাতনের চিহ্ন পাওয়া যায়। অপর আসামি সোহাগের শরীরে দৃশ্যমান আঘাতের চিহ্ন নেই বলে চিকিৎসক প্রতিবেদন দিয়েছেন।
এরপর নাটোরের পুলিশ সুপারকে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা করে ১৫ জুলাই তারিখের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে আদেশ দেয় আদালত।
নাটোরের পুলিশ সুপার মো. সাইফুর রহমান জানান, অটোরিকশা ছিনতাই মামলার আসামিদের ধরতে গেলে তারা দৌড় দিয়ে পড়ে গিয়ে আঘাত পেয়েছে। পরে আদালতে নির্যাতনের অভিযোগ করেছে। আদালতের আদেশের কথা শুনেছি। আদেশের কপি পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।