চাঁদপুর শহরে আওয়ামী লীগ নেত্রী মাসুমা বেগমের মেয়ে ফাতেমাকে ইভটিজিংয়ের ঘটনায় থানায় ছাত্রদের হট্টগোল ও পুলিশ কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনায় ১০ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা করা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে ৮০ থেকে ১০০ জনকে।
বুধবার দুপুরে থানায় মামলাটি করেন মারধরের শিকার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আবদুল সামাদ।
মামলার আসামিরা হলেন শহরের কোড়ালিয়া রোডের হারুন ছৈয়ালের মেয়ে ফাতেমা আক্তার (২২), তাঁর মা মাসুমা বেগম (৪২), একই এলাকার তাহসিন হোসেন (১৮), আল-আমিন (২৮), ট্রাক রোডের মো. রাকিব ভূঁইয়া (২৩), আরফিন আলিফ (২০), মো. সাফায়াত (২২), সৈয়দ সাকিবুল ইসলাম (২৩), রিফাত (১৯) ও মো. আরাফাত (১৯)।
মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়, গত ৮ সেপ্টেম্বর আওয়ামী লীগ নেত্রী মাসুমা বেগমের মেয়েকে ইভটিজিংয়ের ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিলে তদন্তের জন্য উপ-পরিদর্শক (এসআই) সামাদ ফোর্সসহ কোড়ালিয়া রোডে যান। সেখানে আসামি ফাতেমা পক্ষের উচ্ছৃঙ্খল ছাত্রদের সঙ্গে বিবাদী পক্ষের লোকদের সংঘর্ষ হয়। পুলিশ ঘটনা শান্ত করে থানায় চলে আসে। পরদিন ৯ সেপ্টেম্বর ফাতেমা উচ্ছৃঙ্খল ছাত্রদের নিয়ে থানায় আসে। পরে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন ছাত্রদের বুঝিয়ে বিদায় করেন।
এরপর ১০ সেপ্টেম্বর দুপুর আড়াইটার দিকে ফাতেমা ও তাঁর মা মাসুমা বেগম পুলিশের বিষয়ে ভুল তথ্য দিয়ে ওই ছাত্রদের উসকানি দেয়। তখন ছাত্ররা তাদের পক্ষ হয়ে থানায় প্রবেশ করে কর্মকর্তাসহ সকলের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে। একপর্যায়ে মেসের খাবার ঘরে গিয়ে ছাত্ররা এসআই সামাদকে টেনে হিঁচড়ে বের করে মারধর করে। পরে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়।
এমন পরিস্থিতি দেখে ওসি মো. আলমগীর হোসেন রনিও অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাঁকেও চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য দুপুরেই তাঁকে ঢাকার রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
মামলার তথ্য নিশ্চিত করে চাঁদপুরের পুলিশ সুপার (ভারপ্রাপ্ত) সুদীপ্ত রায় বলেন, ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।